আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সেনা অভ্যুত্থানে বন্দি অং সান সুচির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ দায়ের করেছে মিয়ানমার পুলিশ। তদন্তের জন্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাকে থাকতে হবে পুলিশের হেফাজতে। পুলিশের কিছু নথিপত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানায়িছে বিবিসি’সহ আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যগুলো।
মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি’র বিরুদ্ধে দেশটির পুলিশ আজ বুধবার বেশ কয়েকটি অভিযোগে মামলা করেছে। এসব অভিযোগে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিমান্ডে থাকবেন সুচি। তবে এখন পর্যন্ত সুচি কী অবস্থায় এবং কোথায় আছেন, সে সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সুচি’র বিরুদ্ধে করা পুলিশের এফআইআরের তথ্য পাওয়া গেছে। তাতে দেখা গেছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিমান্ডে থাকবেন সুচি।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, রাজধানী নেপিডোতে নিজ বাসভবনেই আটক আছেন অং সান সুচি। তবে সরকারি কোনো সূত্র এটি নিশ্চিত করেনি।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, সুচি’র বিরুদ্ধে আমদানি-রপ্তানি আইনে অভিযোগ করা হয়েছে। সুচি’র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) একজন মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এনএলডির প্রেস কর্মকর্তা কি তোয়ে দলের ফেসবুক পেজে জানিয়েছেন, বিশ্বস্ত সূত্র থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে দখিনাথিরি আদালত সুচি’র ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আমদানি–রপ্তানি আইনে এই রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, সুচি’র বাড়ি থেকে ওয়াকিটকি পাওয়া গেছে, যা তিনি বেআইনি যোগাযোগ যন্ত্র আমদানি করে ব্যবহার করছিলেন।
এ ছাড়া মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উই মিন্তের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে। সামরিক অভ্যুত্থানের সময় তাঁকেও আটক করা হয়েছিল।
সূত্রে জানা গেছে, উই মিন্তের বিরুদ্ধে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনে অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে মিয়ানমারে। নেত্রী অং সান সুচি’র মুক্তি দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা। দেশটির প্রধান শহরগুলোয় সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীরা স্থানীয় সময় আজ বুধবার থেকে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছেন। সেনাশাসনের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন একজন চিকিৎসক।