অনলাইন ডেস্ক : বহুল আলোচিত-সমালোচিত সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টায় খিলগাঁও মাখজানুল উলুম মাদরাসায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। জেলে থাকা ও রাজনৈতিক পরিচয়ধারী নেতাদের বাদ দেয়া হয়েছে নতুন কমিটিতে।
কমিটিতে জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির এবং নুরুল ইসলাম জিহাদীকে মহাসচিব হিসেবে বহাল রাখা হয়েছে। কমিটির বর্তমান পরিধি ৩৩ সদস্যবিশিষ্ট।
সেখানে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত আমির শাহ আহমদ শফীর বড় ছেলে মো. ইউসুফকেও রাখা হয়েছে।
৩৩ সদস্যর নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়াও ১৬ সদস্যর উপদেষ্টা কমিটি এবং ৯ সদস্যর কেন্দ্রীয় খাস কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সোমবার (৭ জুন) বেলা ১১টায় রাজধানীর খিলাগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক কমিটির সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী এ ঘোষণা দেন। কমিটিতে ৯ জনকে নায়েবে আমির, ৫ জনকে যুগ্ম মহাসচিব ও একজন সাংগঠনিক সম্পাদকসহ মোট ৩৩ জনকে রাখা হয়েছে।
নতুন কমিটির মহাসচিব বলেন, ‘নতুন কমিটিতে রাজনৈতিক কাউকে রাখা হয়নি। জেলা কমিটিতেও রাজনৈতিক কাউকে রাখা হবে না।’
৯ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় খাস কমিটিতে যারা আছেন, আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী, আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, আল্লামা হাফেজ নূরুল ইসলাম, ঢাকা, অধ্যক্ষ মিযানুর রহমান চৌধুরী, আল্লামা সাজেদুর রহমান, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া, আল্লামা মুহিব্বুল হক, গাছবাড়ী সিলেট, আল্লামা আব্দুল আউয়াল, নারায়ণগঞ্জ ও আল্লামা মুহিউদ্দীন রব্বানী, সাভার।
কমিটিতে হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমির মরহুম আল্লামা আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানিকে বাদ দেওয়া হলেও তার বড় ছেলে ইউসুফ মাদানিকে রাখা হয়েছে।
এই কমিটিতে বাদ পড়েছেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের শরীক হেফাজত সমর্থিত রাজনৈতিক নেতারা। আগের কমিটির যুগ্ম মহাসচিব কারাগারে আটক মাওলানা মামুনুল হক, তার বড়ভাই মাওলানা মাহফুজুল হক, নায়েবে আমির মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমি, ঢাকা মহনগর সভাপতি মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, আহমদ আব্দুল কাদের, নাছির উদ্দিন মুনির, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, কেন্দ্রীয় নেতা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, হাসান জামিল, মুফতি হারুনসহ বিতর্কিত নেতাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।
কমিটিতে যারা আছেন, মুহতারাম আমির, ১. হজরত আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী, নায়েবে আমির-২. হজরত মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী , হজরত মাওলানা আবদুল হক, হজরত মাওলানা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, অধ্যক্ষ মীযানুর রহমান চৌধুরী, হজরত মাওলানা মুহিব্বুল হক, গাছবাড়ী, সিলেট, হজরত মাওলানা ইয়াহইয়া,(হাটহাজারী মাদ্রাসা), মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস (ফরিদাবাদ মাদ্রাসা), মাওলানা তাজুল ইসলাম (পীর সাহেব ফিরোজশাহ্), মাওলানা মুফতী জসিমুদ্দীন (হাটহাজারী মাদ্রাসা), মহাসচিব হজরত মাওলানা হাফেজ নূরুল ইসলাম, ঢাকা যুগ্ম মহাসচিব, হজরত মাওলানা সাজেদুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, নারায়ণগঞ্জ, মাওলানা লোকমান হাকীম, চট্টগ্রাম, মাওলানা আনোয়ারুল করীম, যশোর, মাওলানা আইয়ুব বাবু নগরী সহকারী মহাসচিব, মাওলানা জহুরুল ইসলাম, মাখজান, মাওলানা ইউসুফ মাদানী (সাহেবজাদা, আল্লামা শাহ আহমদ শফী) সাংগঠনিক সম্পাদক, মাওলানা মীর ইদ্রিস, (চট্টগ্রাম) অর্থসম্পাদক, মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ আলী (মেখল) সহ অর্থসম্পাদক, মাওলানা মুফতী হাবিবুর রহমান কাসেমী, (নাজিরহাট) প্রচার সম্পাদক, মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানী, সাভার ঢাকা সহপ্রচার সম্পাদক, মাওলানা জামাল উদ্দীন কুড়িগ্রাম দাওয়া বিষয়ক সম্পাদক, মাওলানা আবদুল কাইয়ুম সোবহানী, (উত্তরা, ঢাকা) সহকারী দাওয়া, মাওলানা ওমর ফরুক (নোয়াখালী) সদস্য, মাওলানা মোবারাকুল্লাহ, (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), মাওলানা ফয়জুল্লাহ (পীর সাহেব) মাদানীনগর, মাওলানা ফোরকানুল্লাহ খলিল, দারুল মায়ারেফ, চট্টগ্রাম, মাওলানা মোশতাক আহমদ (খুলনা দারুল উলূম), মাওলানা রশিদ আহমদ (কিশোরগঞ্জ), মাওলানা আনাস (ভোলা) মাওলানা মাহমুদল হাসান (ফতেহপুরী) ও মাওলানা মাহমুদুল আলম।
কমিটি ঘোষণার সময় বলা হয়, ভবিষ্যতে প্রত্যেক জেলা কমিটির সভাপতি পদাধিকার বলে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। এছাড়া, জেলা কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারি অরাজনৈতিক ব্যক্তি হতে হবে।