হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি (জাফর ইকবাল) : ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মামলাকারী জাপা নেতা সাবাজুর রহমান হলেন সভাপতি প্রার্থী-!
সমালোচনার ঝড়।
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ২৭জুলাই বুধবার।
আর এই সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী নিয়ে চলছে নানান আলোচনা সমালোচনা।
জানাযায়,২৭জুলাই বুধবার বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়ন অফিসের সামনে বেলা ৩টায় ৪নং ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বানিয়াচং আজমিরীগঞ্জের সংসদ সদস্য এডভোকেট আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ খান এমপি,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামিলীগের জয়েন্ট সেক্রেটারি এডভোকেট লুৎফর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান শামীম এবং বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামিলীগ নেতৃবৃন্দ।
এদিকে সভাপতি হিসেবে প্রার্থী রয়েছেন বানিয়াচং উপজেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মামলাকারী জাপা নেতা-!
তার প্রার্থীতার খবরের পর থেকে আওয়ামিলীগ রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাট বাজারে আলোচনা ও সমালোচনা।
অনেকেই বলতে শুনা যায়,যে ব্যক্তি আওয়ামিলীগ পরিবারের যোগ দিয়ে আওয়ামিলীগের প্রান ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মামলা মোকদ্দমা করে ওদের ভবিষ্যত নষ্ট করতে পারে।
এসব লোকজন আওয়ামিলীগে সভাপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখে কিভাবে-!
এমনকি তাদের মতো দল পরিবর্তন করা বহুরুপী মানুষকে যদি এসব সংগঠনে এমন আসনে বসানো হয়।
তাহলে যে দলের কি অবস্থা হবে,এটা একমাত্র তারাই বলতে পারবেন।
যারা এসমস্ত লোকজনকে পদ পদবি দিয়ে আওয়ামিলীগ ধ্বংস করার জন্য সহযোগী করবেন।
এমন পদবি পাওয়ার পূর্বেই দলের জন্য তিনি কি করতে পারেন বা পারবেন তার গত ১৪টি ছেলের বিরুদ্ধে মামলা’র যথেষ্ট প্রমান উল্লেখ্য করেন।
হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ হোসেন বাপ্পির ঈদ শুভেচ্ছার গাড়ি বহর করে মোটরসাইকেল শোডাউনে ১৬জুলাই বানিয়াচং উপজেলা ছাত্রলীগের দু‘গ্রুপের দ্বন্দের জেরে সভাপতি আরিফ বাপ্পির সামনে শহিদুর রহমান নয়ন নামের এক কর্মীকে প্রতিপক্ষের লোকজন মারপিট করে আহত করে।
এ ঘটনায় বানিয়াচং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিপন চৌধুরীকে প্রধান আসামী করে ১৪জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ২২জুলাই বানিয়াচং থানায় নয়নের বাবা জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা শাহবাজুর রহমান একটি মামলা দায়ের করেন।
এঘটনায় বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাদের নীরবতা পালনেও এক রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সেন্টাল থেকে ২৮এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
এরপরই হঠাৎ করে ৭জুলাই গভীর রাতে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ বাপ্পি তার নিজস্ব ফেইসবুক আইডি থেকে দলীয় পেইজের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বানিয়াচং উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ও কলেজ কমিটিকে বিলুপ্তি ঘোষণা করে পোস্ট করেন।
তারপরই শুরু হয় নতুন নেতৃত্বে আসা নেতাকর্মীদের লবিং গ্রুপিং।
এরই ধারাবাহিকতায় চলতে থাকে আরিফ বাপ্পিকে নিয়ে শোডাউন।
আর এমন এক শোডাউনে মধ্যে ছাত্রলীগের হিফজুর রহমান চৌধুরী জয় ও শহিদুর রহমান নয়নের লোকজনের মধ্যে প্রটোকল নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়।
একপর্যায়ে দুপুর ২টায় পথিমধ্যে শহীদুর রহমান নয়ককে প্রতিপক্ষের লোকজন মারপিট করে আহত করে।
এই ঘটনাকে ইসু করে ঐদিনই সন্ধ্যায়ই স্থানীয় নতুনবাজারে শহীদুর রহমান নয়নের লোকজন জনাব আলী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ রাজু ও তার ফুফাতো ভাইয়ের উপর হামলা করে আহত করে।
এই খবরটি রাজুর লোকজনের মধ্যে ছড়িয়ে গেলে তাদের লোকজনও পাল্টা হামলা চালায়।
এতে উভয় পক্ষের আধ ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে ১০ জন আহত হন।
এসব ঘটনায় এবং মামলা দায়েরের ঘটনার পর থেকে
আওয়ামিলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক অঙ্গনে নানান আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।