হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি (মোঃ জাফর ইকবাল) : হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মধ্যসমত গ্রামের আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হলেন, চিহ্নিত রাজাকার আব্দুল গফুরের আপন ছোট ভাই আব্দুস শহিদ।
এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। নেতাকর্মীরা জানান, রোববার পুর্বে নির্ধারিত ৮ মে বিকেলে ছিল ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কাউন্সিল। এতে সভাপতি পদে প্রার্থী ছিলেন ইনাতগঞ্জ ইউপি যুবলীগের সভাপতি ও বিশিষ্ট সাংবাদিক আশাহিদ আলী আশা ও আব্দুস শহিদ। ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অনিহা জানিয়ে সভাপতি পদে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন ইউপি যুবলীগ সভাপতি আশাহিদ আলী আশা। রাজাকার পরিবারের সদস্যকে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত করায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
আওয়ামিলীগ দলীয় সূত্র জানায়, বিগত দুই ইউ পি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন সাধারণ সম্পাদক দিলবার হোসেনের আত্বীয় স্বজন। তারা বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলে ও তিনি আওয়ামিলীগের দায়িত্বশীল থাকা অবস্থায় পক্ষে কাজ করেননি। অপর সভাপতি প্রার্থীর পরিবারে বিএনপি থাকলেও ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আশাহীদ আলী আশা একজন সাংবাদিক। সেই হিসেবে দীর্ঘ দিন যাবৎ লেখনীর মাধ্যমে দল কে এগিয়ে নিতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল খালিক কথা বলতে রাজি হননি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি জানতাম না। এখন শুনেছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নিব।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, মৃত আব্দুল গফুর, ছিলেন ১৯৭১ সালে ইনাতগঞ্জ এলাকার একজন দুরান্ত রাজাকার। তার নেতৃত্ব রাজাকার আল বদররা সংঘবদ্ধ ভাবে তাদের সহযোগিতায় পাক হানাদার বাহিনী এলাকায় হত্যা, নারী নির্যাতন করে। এসব রাজাকারদের সহযোগিতায় প্রজাতপুর গ্রামের ইনাতগঞ্জ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি রাকিব হোসেনের পিতা সান উল্লা মেম্বারকে পাকিস্তানি বাহিনীরা হত্যা করে।
এলাকাবাসী জানান, যারা এ দেশকেই চাননি, তাদের পরিবারের লোক মুক্তিযোদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী দল আওয়ামীলীগের সহ যেকোনো দলের কমিটিতে স্থান পাবে এটা দু:খজনক। তারা আব্দুস শহীদের সভাপতির পদ বাতিলের জোর দাবি জানান
তারা আরো জানান, সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ফেইসবুকে আওয়ামিলীগের কোন পোস্টই কোনদিন তারা দেননি। তদন্ত করলে তা প্রমানিত হবে।
বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নিতে জেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক সহ উপজেলা আওয়ামিলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সু-দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আওয়ামিলীগ পরিবার।