বিশেষ প্রতিনিধি (হাকিকুল ইসলাম খোকন) : কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম সিরাকিউস সিটির মেয়র বেন ওয়ালস এর সাথে তাঁর কার্যালয়ে ৬ জুলাই ২০২৩ বৈঠক করেন। এ সময় তারা বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে উভয়ই বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরো গভীর ও সম্প্রসারিত করার প্রয়োজনীয়তার উপর আলোকপাত করেন।খবর বাপসনিউজ ।
অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অন্যতম নিয়ামক হিসাবে অভিহিত করে কনসাল জেনারেল ড. ইসলাম মেয়রকে দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা ও অগ্রগতি অবহিত করেন। যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোষাকের রপ্তানী বাড়ানোর পাশাপাশি তিনি বাণিজ্য সহযোগিতাকে আরো সম্প্রসারিত করার উপর জোর গুরুত্ব আরোপ করেন। কনসাল জেনারেল বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিনিয়োগ বান্ধব নীতি ও পদক্ষেপসমূহের বর্ণনা করে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বিনিয়োগ বান্ধব গন্তব্য বলে আখ্যায়িত করেন। সরকার পরিকল্পিত বিকাশমান বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহ এর প্রাপ্ত সুবিধাসমূহের বর্ণনা দিয়ে ড.ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পপতি ও বিনিয়োগকারীদেরকে আরও গভীরভাবে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের আমন্ত্রণ জানান। এক্ষেত্রে তিনি অন্যান্যের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানী, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, তথ্য-প্রযুক্তি, পর্যটন, ভৌত অবকাঠামো ও লজিস্টিক খাত সমূহের কথা বিশেষভাবে চিহ্নিত করেন।
প্রসঙ্গক্রমে, প্রবাসী বাংলাদেশীদের মেধা, মনন, উদ্যম ও সৃজনশীলতা তুলে ধরে কনসাল জেনারেল বলেন যে, তারা শুধুমাত্রই দু’দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন না, দু’দেশের জনগণের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও বোঝাপোড়াকে সহজ সরল ও সাবলীল করার ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছেন। বাংলাদেশের ইতিহাস, ভাষা ও সংস্কৃতিকে সিরাকিউসে পরিচিত ও প্রসারিত করতে উভয়ই সুবিধাজনক সময়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ফ্ল্যাগ রেইজিং অনুষ্ঠান করতে সম্মত হন। মেয়র ওয়ালস বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সফলতা ও অর্জনের প্রশংসা করেন। দু’দেশের মধ্যেকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা আরো বিস্তৃত করার অপার সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করে এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করবেন মর্মে কনসাল জেনারেলকে আশ্বস্ত করেন।
আগামী দিনগুলিতে মেয়র অফিস ও বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের মধ্যেকার চলমান সহযোগিতা আরো কার্যকরী ও শক্তিশালী হবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করার মধ্য দিয়ে বৈঠকের সমাপ্তি ঘটে।