নিজস্ব প্রতিনিধি: অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন ঘটনার প্রতিবাদ করায় উল্টে এলাকাবাসির নামে মিথ্যা মামলা করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গাংনিয়া এলাকায়।
অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে বালি উত্তোলনের এব্যাপারে এলাকাবাসির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্র জানায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার অন্তর্গত ৭নং আলিপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের গাংনিয়া গ্রামের পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে মাহমুদপুর মৌজাধীন লাবন্যবতি খাল।
এই খাল দিয়ে প্রায় ১০০টি গ্রাম, ৫০টির বেশি হাওড় ও বিলের পানি নিষ্কাশন করা হয়। কিন্তু বিগত ১ আগষ্ট থেকে ভাড়–খালি মাহমুদপুর এলাকার মোঃ আতিয়ার রহমান (ভুট্টো)’র ছেলে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুমন হোসেন এর নেতৃত্বে একটি অবৈধ বালি উত্তোলন কুচক্রিমহল এই লাবন্যবতি খালের বটতলা নামক স্থানে ড্রেজার মেশিন দ্বারা খালের তলদেশ থেকে বালি উত্তোলনের পায়তারা চালাচ্ছে।
এই খাল থেকে প্রতিনিয়ত বালি উত্তোলন করতে থাকলে খালের দুই পাড়ে প্রায় ৫০টির অধিক বাড়ি ঘর রয়েছে যারা অত্যান্ত মানবেতর জীবন-যাপন করে এবং উক্ত কালের পড় দিয়ে এলাকার মানুষের চলাচলের রাস্তা আছে। এই সকল বাড়ি-ঘর ও রাস্তা ধ্বস নেমে পড়ে যাবে। এছাড়াও বটতলা নামক স্থানে খালের দুই প্রান্তে মালিকানধীন আবাদি জমি ধ্বস নেমে খাল বিলিন হয়ে খালের প্রস্থ্যতা বৃদ্ধি পেয়ে জোয়ারের সময় গাংনিয়া গ্রামসহ আশে পাশের আরও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হতে পারে।
এদিকে উক্ত গ্রামের গন্য-মান্য ব্যক্তিবর্গ এবং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ মোশারফ হোসেন (নিউটন) এর মাধ্যমে গত ৯ আগষ্ট গাংনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে একটি গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করেন। উক্ত সালিশে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুমন হোসেন উক্ত স্থান থেকে বালি উত্তোলন করবে না বলে প্রতিশ্রতি দেয়। কিন্তু কয়েকদিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও উক্ত স্থান থেকে বালি উত্তোলনের সরঞ্জামাদি, ড্রেজার মেশিন কোন কিছুই অপসারণ না করে পুনরায় বালি উত্তোলনের কার্যক্রম চালু করেছে।
অপরদিকে এই বালি উত্তোলনের ব্যাপারে কেউ যেন মুখ খুলতে সাহস না পায় সেজন্য কয়েকজন গ্রামবাসির নামে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন সুমনের কাছের লোক একটি কোম্পানির পরিচয়দানকারি ব্যক্তি আমিন শেখ।
এব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক লোকমান হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলা তদন্তাধিন আছে। বালু উত্তোলনের বৈধতা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি তদন্ত করা হবে। কেউ আহত আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন শুনেছি আহত আছে এখনো সেই ব্যক্তি সামনে আসেনি।