সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি : স্বামীর বাড়ি না থাকায় জানালা ভেঙে স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করে সাবেক ইউপি সদস্য। চেচামেচি শুনে স্বজনরা এগিয়ে আসলে টর্চ লাইট দিয়ে একজনের মাথা ফাঁটিয়ে পালিয়ে যায় সাবেক ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন। ঘটনাটি সোমবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বসুখালী গ্রামে ঘটে।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) আশাশুনি থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী বসুখালী গ্রামের বাশারাফ হোসেন পিয়াদার স্ত্রী রোকেয়া খাতুন (৪২)।
অভিযুক্ত ফারুক হোসেন শোভনালী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও বসুখালী গ্রামের মৃত অমেদ আলী গাজীর মেজ ছেলে।
রোকেয়া খাতুন বলেন, আমার স্বামী সাতক্ষীরা থানার এল্লারচর গ্রামে মৎস্য ঘেরের কর্মচারী। ঘেরে থাকার সুবাদে ফারুক হোসেন আমার সহিত অবৈধ সম্পর্ক সৃষ্টি করার জন্য বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দেয়। সোমবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সময় ফারুক হোসেন আমার রান্না ঘরের জানালা ভাঙ্গিয়া কৌশলে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। তখন আমি চিৎকার চেচামেচি দেওয়ার চেষ্টা করলে আসামী আমাকে ঝাপটে ধরার চেষ্টা করে।
তিনি বলেন, আমার চেচামেচি শুনে আমার ননদ নাছিমা খাতুন ও ভাসুর আশরাফ আলী পিয়াদা সহ বাড়ীর অন্যান্য লোকজন দৌড়ে এসে ফারুক হোসেন ধরার চেষ্টা করিলে সে হাতে থাকা বিদেশী টর্চ লাইট দিয়া আমার ভাসুর আশরাফ আলী পিয়াদার মাথায় বাড়ি মেরে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায় ।
এঘটনায় যখম হওয়া আশরাফ আলী পেয়াদা বর্তমানে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন হয়েছে।
অভিযুক্ত ফারুক হোসেন বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে আমি রাস্তা দিয়ে আসার সময় তারা আমাকে মারপিট করে। আমি কাওকে মারপিট করিনি।
আশাশুনি থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, এঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।