প্রেস বিজ্ঞপ্তি : কোন মামলা ও আসামি না হওয়া সত্ত্বেও র্যাব কর্তৃক একজন সংবাদ কর্মিকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে আটকে রাখার অভিযোগ এনে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম, প্রথম আলোর কল্যাণ ব্যানার্জী, সাবেক সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সভাপতি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান, সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, সাবেক সহ-সভাপতি কালিদাস রায়, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী সুজন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, দৈনিক করতোয়ার সেলিম রেজা মুকুল, দেশ টিভির শরীফুল্লাহ্ কায়সার সুমন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির আবুল কাশেম, চ্যানেল ২৪ এর আমিনা বিলকিস ময়না, জিটিভির কামরুল হাসান ও মানসিক নির্যাতনের শিকার দৈনিক বনিক বার্তার গোলাম সরোয়ার।
প্রতিবাদ সমাবেশে কেন সাংবাদিক গোলাম সরোয়ারকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে গিয়ে টানা ৭ ঘন্টা মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে র্যাব এমন প্রশ্ন রেখে সাতক্ষীরার সাংবাদিকরা এই ঘটনাকে মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন।
কোন অপরাধ বা আসামী না হওয়া স্বত্তেও একটি তুচ্ছ মারামারির ঘটনায় র্যাব কর্মকর্তারা কেন এত উৎসাহী হয়ে এই অঘটন ঘটালেন তা প্রশ্নবিদ্ধ। তারা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের বিচার দাবি করেছেন।
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা তাদের বক্তব্যে আরো বলেন, র্যাব-৬ এর কোন কোন কর্মকর্তা অতি উৎসাহী হয়ে মামলা হয়নি এমন এক ঘটনায় কোর্ট চত্ত্বরের কাছ থেকেই মারামারিতে আহত নজরুল ইসলামকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করেছে। একই সময় তাকে মোটরসাইকেলে বহনকারী সাংবাদিক গোলাম সরোয়ারকে টানাহেঁচড়া করে তার মোবাইল ও গাড়ির চাবি কেড়ে নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত টানা ৭ ঘন্টা মানসিক নির্যাতন করেছে।
র্যাবের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সুস্পষ্ট দৃষ্টান্ত তুলে ধরে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আইনশৃংখলা বাহিনীর একটি এলিট ফোর্স হিসেবে র্যাবের যে সুনাম রয়েছে তা এই সমস্ত অতি উৎসাহী কর্মকর্তাদের জন্য বিনষ্ট হচ্ছে।
সাংবাদিকদের উপর কেন সাতক্ষীরার এই কর্মকর্তার এত রোষাণল তা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন তুলেছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে র্যাব দায়িত্ব পালন করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দায়িত্ব বহির্ভূত কোন কর্মকান্ডের ব্যাপারে তাদের এ ধরনের ঘটনা সমর্থনযোগ্য নয়। সাংবাদিক নেতারা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা স্কোয়াড্রন লিডার ইশতিয়ার হোসাইনসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা দিয়েছেন।
এই কর্মসূচী অনুযায়ী ১৬ জানুয়ারি রোববার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিকদের মানববন্ধন এবং প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এব্যাপারে সাংবাদিকরা র্যাবের সাথে যোগাযোগ করলে র্যাব-৬ স্কোয়াড্রন লিডার ইশতিয়ার হোসাইন বলেন, এই মামলার আরেক আসামীকে গ্রেপ্তার করার জন্য তাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলাম। তাকে কোন অসম্মান করা হয়নি।