সাতক্ষীরা ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি(পলাশ চৌধুরী) :
কর্মদক্ষতা, মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে খুব অল্প দিনেই প্রশংসা অর্জন করে চলেছেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ ও প্রশাসন) মো: সজিব খান।
পুলিশের ২৮ বিসিএস সজিব খান গত ৪ এপ্রিল ২০২১খ্রিষ্ট্রাব্দ তারিখে তিনি সাতক্ষীরা জেলাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) পদে যোগদান করেন। মাত্র ৪ মাসের মধ্যে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দায়িত্ব গ্রহণ করে তিনি আইন-শৃংখলা রক্ষার পাশাপাশি নিজের দপ্তরের অফিসার ও ফোর্সদের মন জয় করে চলেছেন।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম-বার এঁর দিক নির্দেশনা মোতাবেক তিনি এই চার মাসে বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছেন।
কিছু দিন আগে “সাতক্ষীরায় দুই এমপি’র মাথা কেটে দিতে পারলে কোটি টাকা দেওয়া হবে পুরস্কার “এমন একটি স্টাটাস দিয়ে ফেইজবুকে ফেক আইডি বানিয়ে ঝড় তুলেছিলেন এক যুবক। পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশনা মোতাবেক সিআইডি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহযোগীতা নিয়ে ২-৩ দিনের ভিতরে হুমকি দাতা পিতা+পুত্র কে আটক করতে সক্ষম হয়েছিলেন সজিব খান। কয়েক মাস আগে সদর উপজেলার ঘোনায় জামাই কতৃক শাশুড়ি খুন ও স্ত্রী কে জখম করার ঘটনায় ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সেই ঘাতক কে আটক করতে সক্ষম হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজিব খান। যোগদানের প্রথম মাসে শহরের সিটি কলেজের সামনে ২০০ টাকার মাদক খেয়ে ফেলার অপরাধে বন্ধুর হাতে এক বন্ধু খুন হন।পরে পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনা মোতাবেক ২৪ ঘন্টার মধ্যে সেই ঘাতক বন্ধুকে আটক করতে সক্ষম হন জেলা পুলিশের ২য় শীর্ষ কর্মকর্তা সজিব খান। এছাড়া সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে মুর্ত্তি চুরি হয় এবং জেলার কয়েকটি এলাকার বাড়িতে গ্রিলকেটে চুরি সংগঠিত হয়।
পরে জেলা পুলিশের অবিভাবক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম-বার এঁর দিক নির্দেশনা মোতাবেক তিনি জেলা ডিবি সহ ৮ টি থানার অফিসার ইনচার্জ দের নিয়ে একযোগে চোর-ডাকাত গ্রেপ্তার করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। গতকাল ও পৌসু সদর থানা পুলিশ ইতিমধ্যে কয়েকজন ছিসকে চোরকে আটক করতে সক্ষম হয়েছেন। তাছাড়া জেলা গোয়েন্দা শাখা শনিবার দিনভোর অভিযান চালিয়ে দুই ডাকাত কে গ্রেপ্তার করেছে। সব মিলিয়ে মাত্র চার মাসে সজিব খানের অর্জনের পাল্লা ভারী।
বিশেষ করে সদালাপী পুলিশ কর্মকর্তা বেশ মানবিকও।করোনা ঠেকাতে লক ডাউন বাস্তবায়নের অভিযানে আমরা তাকে দেখেছি রাস্তায় রোগী বহনকারী যানবাহন, অক্সিজেন বহনকারী যানবাহন, এম্বুলেন্স সহ জরুরী সেবার যানবাহন গুলো আটকে না রেখে দ্রুত ছেড়ে দিতে। আবার একজন মিডিয়া বান্ধব পুলিশ অফিসার তিনি। সাংবাদিকরা কোন তথ্যের জন্য ফোন দিলে তিনি কখনো বিরক্ত বোধ না করেই ধৈয্য ধরে তাদের প্রশ্নের উত্তোর প্রদান করেন। নেতৃত্ব দানের ক্ষমতায় ও তিনি বেশ পারদর্শী। থানার এসআই/এএসআই দের তিনি ভাই বলে সম্মোধন করে হাসিমুখে তাদের কাছ থেকে কাজ আদায় করে দেন।
আবার ন্যায়-নীতি, সততা ও আদর্শে তিনি এক অনন্য পুলিশ কর্মকর্তা। কোন রকম অন্যায় ও দূর্নীতিকে তিনি প্রচ্ছয় দেন না। সব মিলিয়ে সজিব খান এই চার মাসে বেশ জনপ্রিয় পুলিশ অফিসার হিসাবে জেলা বাসীর কাছে পরিচিতি লাভ করেছেন।