মানবচিত্র ডেস্ক : সাতক্ষীরায় অতীতে ১৩-১৪ সালে স্বাধীনতা বিরধীদের প্রতিহত করেছি। আবারও নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা ও পৃষ্ঠপোষকতা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন সাতক্ষীরা নবাগত পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান।
বুধবার (২৪ আগস্ট) বিকালে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্সে এ সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশ বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই উন্নয়নের গর্বিত অংশীদার বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ সব কিছুই কাটিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে উন্নয়নের পথে।
মাদকের সাথে সম্পৃক্ত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশ অথবা জনতা যেই হোক মাদকের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। যারা মাদক এবং চোরাকারবারির সাথে জড়িত তাদের তথ্য আমাকে জানাবেন। মাদক ও চোরাকারবারিগণ হচ্ছে সমাজের শত্রু এবং ব্যাধি। মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি আমরা পুলিশ জিরো ট্রলারেন্সে রয়েছি । মাদকের সাথে জড়িত এবং রাষ্ট্র ও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের আমি আমার পুলিশ নিয়ে প্রতিহত করবো ইনশাআল্লাহ।
পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, সাতক্ষীরার সকল থানা ও পুলিশকে দুর্নীতিমুক্ত ও দালাল মুক্ত করবো। এজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমার সবচেয়ে প্রিয় কাজ হচ্ছে সাংবাদিকতা। আমার এই সাতক্ষীরা আসার পিছনে এবং সাতক্ষীরাকে জঙ্গি মুক্ত করার পিছনেও সবচেয়ে বেশি অবদান রয়েছে সাংবাদিকদের।
এছাড়া পুলিশের বিরুদ্ধে যেন মিথ্যা বানোয়াট বা অতিরঞ্জিত লেখালেখি না হয় এটা খেয়াল রাখার জন্য সকল সাংবাদিকদের আহবান জানান তিনি। আমি সাতক্ষীরার সকল জনগণের পুলিশ সুপার। আমি সবসময় নিরপেক্ষ থাকবো। তবে যারা শান্ত সাতক্ষীরাকে অশান্ত করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে এ্যাকশন নিতে কোন দিধা করবো না।
এদিকে সভায় সরাসরি মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে সকল প্রশ্নের উত্তর দেন পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান। ২০১৩-১৪ সালের সাতক্ষীরা আর ফিরে আসবেনা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আমি সুন্দর একটি সাতক্ষীরা স্বপ্ন দেখি। সেটা সম্ভব হবে যখন পুলিশ এবং সাংবাদিকদের সম্মিলিত প্রয়াশ থাকবে। সাংবাদিকরা পাশে থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার করবেন আশা করি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ, মমতাজ আহমেদ বাপী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ সজিব খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) কনক কুমার দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর আসাদুজ্জামান, ডিবি ওসি বাবুল আক্তার ও ট্রাফিক ইনন্সপেক্টর শ্যামল চৌধুরী, সাংবাদিক শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন, আবুল কাশেম, এম কামরুজ্জামানসহ সাতক্ষীরার ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার অর্ধশতাধিক সাংবাদিক।