ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি (খায়রুল বাশার পাপন) : সাতক্ষীরার উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগরে দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জীবন-জীবিকার খোঁজ-খবর নিলেন ডেনমার্কের রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসন। সেইসঙ্গে তাদের সাথে সময় কাটালেন রাজকুমারী। নির্ধারিত কয়েকটি কর্মসূচি শেষ করে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ এলাকায় মধ্যাহৃ ভোজের জন্য বরসা রিসোর্টে অবস্থান করেন তিনি। এরপর দুপুর দেড়টার দিকে কুলতী গ্রামে জলবায়ু ঝুকিপূর্ণ জনগোষ্ঠির মানুষের সঙ্গে কথা বলেন রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ।
এর আগে বুধবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা ১২ মিনিটের দিকে মুন্সিগঞ্জ এলাকার ধানখালিতে নির্মিত হ্যালিপ্যাডে বিমান বাহিনীর একটি হ্যালিকপ্টারে অবতরণ করেন এবং সেখান থেকে গাড়িযোগে মুন্সিগঞ্জ থেকে তিন কিলোমিটার দূরে শ্যামনগরের কুলতী গ্রামে যান তিনি।
সূত্র জানায়, বেশ কিছুক্ষণ উপকূলবর্তী গ্রামে হেঁটেছেন রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ। এ সময় জলবায়ু দুর্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠির বসবাস এলাকা ঘুরে দেখেন রাজকুমারী। পরে তিনি এলাকায় অবস্থিত সাইক্লোন শেল্টার ও বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন। কর্মসূচি অনুযায়ী বাঁধের পাশে বসবাসকারি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ ছাড়াও মধ্যাহৃ ভোজ শেষে তিনি বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন ভ্রমণ করেন এবং বন বিভাগের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।
এরপর শ্যামনগরের কুলতী গ্রামে যান রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসন । জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ ওই এলাকার জনপদ ঘুরে ঘুরে দেখার পাশাপাশি মানুষের সঙ্গে কথা বলেন রাজকুমারী। পরে তিনি দুর্যোগপ্রবণ এলাকার সাইক্লোন শেল্টার ও বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন এবং বাঁধের পাশে বসবাস করা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তিনি সুন্দরবন ভ্রমণ করেন এবং বন বিভাগে কর্মরত স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য আলাপ করেন।
এদিকে ডেনমার্কের রাজকুমারীর ভ্রমণকে কেন্দ্র করে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। রাজকুমারির আগমনকে ঘিরে শ্যামনগরে ছিল সাজসাজ রব। নিরাপত্তার চাঁদরে মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পুরো এলাকা।
জানা গেছে, উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত দেখতেই একদিনের সফরে সাতক্ষীরার উপকূলবর্তী অঞ্চলে আসেন ডেনমার্কের রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসন। তার সফরকে কেন্দ্র করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ও জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্বাবধানে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে এসএসএফ ও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন। এমনকি তার নিরাপত্তায় সাংবাদিকসহ সাধারণের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করা হয়।