সাতক্ষীরা তালা প্রতিনিধি (সাইদুর রহমান) : সর্বোচ্চ রেকর্ডীয় তাপমাত্রা ৪০° ডিগ্রী সেলসিয়াস, জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে, নাজেহাল প্রাণীকুল।
শনিবার ৭ জুন সকালে ৩১° ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা থেকে শুরু করে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত তাপমাত্র ছিলো ৩৮° ও তার পর দুপুরে ৪০° ডিগ্রী সেলসিয়াস। সাতক্ষীরার আবহাওয়া অধিদপ্তর ও আবহাওয়া তাপমাত্রার রেকর্ড অনুযায়ী দিনের পরবর্তী সময়ে তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। এবং আগামী কয়েক দিন এমনি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর এর ওয়েব সাইট সূত্রে জানা গেছে।
বাস্তবতার আলোকে বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ যাহা এক সময় ক্রমাগত ভাবে ঋতুর বাস্তবতা থাকলেও এখন শুধু ইতিহাস ও ঐতিহ্য শুধুমাত্র খাতা কলমে পাঠ্য পুস্তকের পাওয়া যায়। বর্তমানে বাস্তবতার সাথে ঋতুর কোন মিল নেই তাই তো সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। সাতক্ষীরা জেলায় অনাবৃষ্টি কারনে কোথাও পানি না থাকায় খাদ্য শস্যের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। কৃষকদের মাঠের ফসল অতিরিক্ত তাপদাহে পুড়ে যাচ্ছে।
ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে সরকার কিন্তু আলো জ্বলছে না কোথাও। সারাদিন বিদ্যুৎ বন্দ থাকে । সন্ধ্যায় কিছু সময় দু এক দিন বিদ্যুৎ থাকলেও রাত সাড়ে বারোটার পর দেওয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকায় সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী অঞ্চল ভিত্তিক লোডশেডিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে বলে জানান স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগ। প্রাপ্ত বয়স্করা কোন রকম কষ্ট করে দিন পার করলেও কোমলমতি শিশুদের অবস্থা কি এই তাপদাহে ভাবলে গা শিউরে ওঠে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার শতভাগ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। কারণ বাচ্চারা তো বিদ্যুৎ পাখা এসির উপর অভ্যস্ত হয়ে গেছে। সাধারণত বছরের এই সময়ে বৃষ্টির পানিতে খাল, বিল, নদ,নদী, নালা, পুকুর হাওড় তলিয়ে থাকে। কিন্তু এবছর এক দম তার ব্যতিক্রম।
নেই বৃষ্টি। তাতে আউশ ধান রোপনের কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছে না কৃষকরা। এবার ধানের চারা বা বীজ তলা দিতে পারেনি এখনো কৃষকরা। তাতেই খাদ্য শস্যে উৎপাদন ব্যাহত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অপর দিকে পাটের চারা জমিতে শুকিয়ে গেছে। সেখানেই কাংখিত উৎপাদন নিম্নগামী হবে। অতিরিক্ত তাপদাহে পুড়ছে মানুষ খাবার পানির অভাব দেখা দিয়েছে। মৎস্য উৎপাদনের জন্য এই অঞ্চল খুব উর্বর, কিন্তু বৃষ্টি ছাড়া মিঠা পানির মৎস্য ঘের হচ্ছে না। খাবার পানির শংকা দেখা দিয়েছে টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। নানাবিধ কারণে বিলম্বিত হচ্ছে আউশ রোপণ ও ধানের চারার বীজ তলা তৈরি।
এদিকে অতিরিক্ত তাপদাহে ছোট ছোট বাচ্চাদের অসুস্থতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া লোডশেডিংয়ের কারণে রাতে ঘুম পড়তে পারছে না সাধারণ মানুষ।
অতিরিক্ত তাপদাহে একটু স্বস্তি পেতে গরম সহ্য করতে না পেরে টিউবওয়েলর পানি দিয়ে মাথা ভিজিয়ে নেওয়ার চিত্র দেখা গেছে। কথা হলো ভ্যানচালক রফিকুল ইসলামের সাথে। রফিকুল ইসলাম জানান তিনি গরম সহ্য করতে না পেরে দিয়ে নয় দশ বার এভাবে মাথায় পানি দিচ্ছে।