নিউজ ডেস্ক : মহান বিজয় দিবস বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে গৌরবের দিন। বাংলাদেশ সৃষ্টির পর একটি আনন্দময় দিন। দীর্ঘ ৯মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ আর দুই লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময় বাঙ্গালী জাতি অর্জন করেছিল স্বাধীনতা। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ দিনের শোষন আর বঞ্চনার অবসান ঘটে বাংলার মুক্তিকামী অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে লাল সবুজের পতাকা। পেয়েছে স্বাধীন ভাবে চলার অধিকার, পেরেছে স্বাধীন ভাবে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে দাড়ানোর অধিকার।
বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়ে দিয়ে বাংলার ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক, বিভিন্ন দপ্তরে চাকরীজীবি সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে পাক বাহিনীর রুখে দিয়ে ১৯৭১ সালে বাঙ্গালী জাতিকে এ দিনটি উপহার দিয়েছিল। সেই থেকে বাংলাদেশ মুক্তির স্বাদ নিয়ে মাথা উচু করে দাঁড়াবার স্থান।
এবার বিজয় দিবস অন্য ভাবে পালিত হচ্ছে। কারন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শত বার্ষিকী এ বছর তাই বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে। তবে বিগত বছরের ন্যায় আড়ম্বের পরিবেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে না। মহামারী করোনার ভয়াল থাবায় সারা বিশ্ব দিশেহারা বাংলাদেশও এর বাহিরে নয়। সে কারনে স্বাস্থ্য বিধিমেনে বিজয় দিবস পালন করতে হচ্ছে ভিন্ন আঙ্গিকে। স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী লাখো শহীদের শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় সারাদেশের ন্যায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে স্বাধীনতা দিবস পালন করছেন।
সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে প্রত্যুশে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা হয়। পরে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে শহীদ রাজ্জাক মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পন। শহরের খুলনা রোড মোড়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পন সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, এবং বিজয় দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়াল জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বির্নিমানে মুক্তিযোদ্ধার চেতনা ধারনা ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি শীর্ষক আলোচনা সভা।
এসকল কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, অতি: জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ বদিউজ্জামান, অতি: জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট তানজিমুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু, সিনিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার মির্জা সালাউদ্দিন, শেখ ইয়াছিন আলী, হুমায়ন কবির, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশিষ চৌধুরী সহ জেলা প্রশাসক জেলা পুলিশের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সূর্যদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, গুরুত্বপূর্ণ ভবনে আলোকসজ্জিত করন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে শহীদের স্বরনে দোয়া ও প্রার্থনা, ইয়াতিম খানা, জেলা কারাগার হাসপাতাল, শিশু কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে মহান বিজয় দিবসে কার্যক্রম শেষ হয়।