অনলাইন ডেস্ক : সুন্দরবনকে ঘিরেই সাতক্ষীরার শ্যামনগরের অধিকাংশ মানুষের জীবন। তারা তাদের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন হিসেবে বেছে নেন সুন্দরবনকে। সুন্দরবন থেকে কখনো মধু সংগ্রহ , জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ, মাছ ধরা ইত্যাদি কাজ করে তারা জীবন চালান। জীবিকার সন্ধানে সুন্দরবনে কাজ করতে গিয়ে অনেকে পড়েন বাঘের মুখেও। বাঘের আক্রমণে প্রাণ হারান। পেছনে পড়ে থাকে তাদের হতভাগ্য পরিবার পরিজন। বাঘের আক্রমণে স্বামী হারানো বিধবাদের সাধারণত বাঘ বিধবা বলে অভিহিত করা হয়। সে রকম ১০০ জন বাঘ বিধবার পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক)।
আজ (রবিবার) সকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের সুশীলনে পুনাকের পক্ষ থেকে বাঘ বিধবাদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও কম্বল বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা।
এছাড়া ৩০ জন ধাত্রীর মাঝে ধাত্রী কিট বিতরণ করা হয়।
পুনাক সভানেত্রী বলেন, আপনারা অনেকে স্বামী হারিয়েছেন, কেউ হারিয়েছেন সন্তান। আমরা আপনাদের পাশে দাঁড়াতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করছি।
তিনি ধাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যখন কাউকে প্রসব করাবেন তখন যেন নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। আপনারা কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ নিতে চাইলে আমরা আপনাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো।
পুনাক সভানেত্রী বলেন, পুনাক একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। পুনাকের কাজ আমরা এতদিন পুলিশ পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছি। কোভিড আমাদের শিখিয়েছে মানুষকে ভালবাসতে হয় কিভাবে। আমরা সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করছি।
পরে তিনি মঞ্চ থেকে উঠে এসে বাঘ বিধবাদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের পরিবারের খোঁজখবর নেন।
এর আগে জীশান মীর্জা সাতক্ষীরার শ্যামনগরের রিভারভিউ ঘাটে বৃক্ষ রোপণ করেন এবং দাতিনাখালীতে সুপেয় পানির গভীর নলকূপ উদ্বোধন করেন।
স্থানীয় অধিবাসীরা তাদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করায় পুনাক সভানেত্রীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।
এ সময় জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এবং বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।