সাতক্ষীরা তালা প্রতিনিধি (সাইদুর রহমান) : সাতক্ষীরার তালায় পশু চিকিৎসক পরিমলের ভুল চিকিৎসার ফলে দোআচরা জাতের একটি দেড় লক্ষাধিক টাকার ষাঁড়ের মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় অসহায় ষাঁড়ের মালিক তালা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, তালা সদরের খাজরা গ্রামের লিয়াকত আলী বিশ্বাসের ছেলে বজলু বিশ্বাস স্থানীয় এনজিও উন্নয়ন প্রচেষ্টা থেকে ৪০ হাজার টাকা ও নিজের সঞ্চিত টাকা দিয়ে ৬৩ হাজার হাজার ৫ শত টাকা দিয়ে একটি দোআচরা জাতের ষাঁড় ক্রয় করে প্রায় বছর দেড়েক মতন লালন পালন করছেন। বিগত ৭-৮ দিন আগে ষাঁড়টির দাড়া ও পেছনের দিকে হামচু ঘা পরিলক্ষিত হয়। তিনি ষাঁড়টির চিকিৎসা করানোর জন্য গত ১১ ই সেপ্টেম্বর সোমবার স্থানীয় গ্রাম্য পশু চিকিৎসক পরিমলের সহিত পরামর্শ অন্তে চিকিৎসার জন্য নিজ বাড়িতে ডেকে আনেন। পশু চিকিৎসক পরিমল ভুক্তভোগীর বাড়িতে হাজির হয়ে ষাঁড়টি দেখে বলেন,ষাঁড়টির হামচু ঘা হয়েছে। তিনটি ইনজেকশন প্রদান করিলে ষাঁড়টি সুস্থ্য হয়ে যাবে। সেই মোতাবেক পশু চিকিৎসক পরিমল ষাঁড়টিকে ৩ টি ইনজেকশন প্রদান করার কিছুক্ষণের মধ্য ষাঁড়টি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ছট-ফট করতে করতে মৃত্যুবরণ করেন। এসময় পশু চিকিৎসক পরিমল ইনজেক্ট করা ঔষধের খালি বোতল সংগ্রহ করে ঘটনাস্থল থেকে পলায়ন করেন।
ভুক্তভোগী বজলু বিশ্বাস জানান, আমি একজন দিনমজুর। অতিকষ্টে পরিবার নিয়ে দিনযাপন করে সঞ্চিত অর্থ ও এনজিও হতে লোন নিয়ে ষাঁড়টি ক্রয় করি। গেল কুরবানী ঈদে ষাড়ঁটির মূল্য হয়েছিল ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা।আমার মেয়েটি বিবাহযোগ্য হওয়ায় ভেবেছি ষাঁড়টি কিছুদিন পর বিক্রয় করে মেয়ে বিবাহ দিব।কিন্তু পশুচিকিৎসক পরিমলের ভুল চিকিৎসায় ষাঁড়টি মারা গেল। এখন আমার পথে বসার উপক্রম হয়েছে। এঘটনায় তালা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
গতকাল বৃহস্পতিবার এঘটনা নিয়ে তালা থানায় সালিশী বৈঠক হলে পশু চিকিৎসক পরিমল বলেন, ষাঁড়টি সুস্থ ও সবল ছিল। শুধুমাত্র শরীরের পিছনের দিকে হামচু ঘা পরিলক্ষিত হলে তিনটি ইনজেকশন প্রদান করি। তার কিছুক্ষণ পরে ষাঁড়টি ছট-ফট করতে করতে মারা যায়। কিন্তু ইহাতে আমি কোন ক্ষতিপুরণ দিতে পারবো না।
এঘটনায় ভুক্তভোগী অসহায় বজলু বিশ্বাস মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগের বিষয় তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মমিনুল ইসলাম পিপিএম জানান, বিষয়টি নিয়ে সালিশী বৈঠকে মীমাংসার চেষ্টা করেছেন পুলিশ কর্মকর্তা। কিন্তু মীমাংসা না হওয়ায় অভিযুক্তর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।