জাতীয় ডেস্ক : সরকারি সেবা থেকে জনগণ যেন বঞ্চিত না হয় সে বিষয়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সর্তক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (৩ এপ্রিল) ১২১, ১২২, ১২৩তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সসমূহের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
শাহবাগ বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের জনগণ যেন কখনো সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। কারণ তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই আমাদের এই স্বাধীনতা, বঞ্চনার হাত থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্যই আমাদের স্বাধীনতা। কাজেই স্বাধীনতার সুফল যেন বাংলদেশের প্রত্যেকটা মানুষের ঘরে পৌঁছায় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। ’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখন যেখানে দায়িত্বপালন করবেন অবশ্যই মানুষের কথা চিন্তা করবেন। যে যে এলাকায় কাজ করবেন সে এলাকা সম্পর্কে জানতে হবে। সেখানকার মানুষের আচার-আচরণ, জীবন-জীবিকা সম্পর্কে জানতে হবে। কীভাবে তাদের উন্নতি করা যায়- সে বিষয়েও ভাবার সুযোগ আপনাদের রয়েছে। ’
প্রজাতন্ত্রের নবীন কর্মচারীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা অল্প সংখ্যক ভাগ্যবান ব্যক্তি দেশ সেবার সুযোগ পাচ্ছেন। কাজেই আপনাদের চিন্তা-চেতনা জনকল্যাণমূলক হতে হবে। ’
তিনি বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে কাজের মধ্য দিয়ে আপনারা যে জ্ঞান লাভ করবেন সেটাই আগামী দিনে যখন উচ্চ পর্যায়ে যাবেন, বাস্তবায়ন করার সুযোগ পাবেন। বাংলাদেশকে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার যে পরিকল্পনা নিয়েছি তা বাস্তবায়নে মূল কারিগর আপনারাই হবেন। কাজেই এখন থেকে আপনাদের সেভাবে কাজ করতে হবে। ’
বিভিন্ন এলাকায় সরকারের প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জমি নির্দিষ্ট করাসহ নানা জটিলতা নিরসনে বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে কাজের সমন্বয় করার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কাজগুলো যাতে সুপরিকল্পিত ভাবে হয় সে বিষয়েও বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া উচিত। ’
দক্ষ সিভিল সার্ভিসের গুরুত্ব তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, ‘একটা প্রশিক্ষিত দক্ষ সিভিল সার্ভিস সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে অন্যতম সহায়ক শক্তি বলে আমি মনে করি। আমরা যা প্রতিশ্রুতি দেই সেটা বাস্তবায়নের দায়িত্ব কিন্তু প্রশাসনের কর্মকর্তাদের। ’
দেশকে আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘আমাদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, অর্থনীতি মজবুত হয়েছে। জাতিসংঘের যে চাহিদা সেটা মোতাবেক এখন আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। তবে উন্নয়নশীলের মর্যাদা পেলেই হবে না। নিজেদের আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দেশকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। এই বাংলাদেশে একটি মানুষ ক্ষুধার্ত থাকবে না, একটি মানুষ গৃহহীন থাকবে না। প্রতিটি মানুষ স্বাস্থ্য সেবা পাবে, শিক্ষার সুযোগ পাবে, উন্নত জীবন পাবে। এটাই জাতির পিতার একমাত্র লক্ষ্য ছিল। ’
বিসিএস প্রশাসন একাডেমি প্রান্ত থেকে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান, জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম, বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর মোমিনুর রশিদ আমিন প্রমুখ।