রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি (এম শামসুল আলম) : রাজশাহী জেলাধীন তানোর উপজেলার অন্তর্ভূক্ত মুণ্ডুমালা পৌরসভার সরকার দলীয় বিদ্রোহী মেয়রের দিবালোকে সরকারী গাছ নিধন করছেন বলে অভিযোগ উঠলে তার সত্যতা খুঁজে পাওয়া গেছে।
বিগত পৌর নির্বাচনে সরকার বিরোধী সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চিহ্নিত ও ব্যপক সমালোচিত সাইদুর রহমানের নামেই তার প্রভাব খাটিয়ে তার দুষ্কৃতকারী বাহিনীরা প্রতিনিয়ত চুনিয়াপাড়া-প্রকাশনগরসহ মুণ্ডুমালা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার রাস্তা ও খাড়ির দুপাশের সরকারী গাছ কেটে নিয়ে গিয়ে- মুণ্ডুমালা বাজারের জহিরের স’মিলসহ বিভিন্ন স’মিল ও কাঠ-খড়ি বিক্রেতাদের কাছে স্বল্প মূল্যে বিক্রি করছেন।
মুণ্ডুমালা পৌর এলাকার সাধারণ মানুষদের সাথে কথা বলে জানা যায়; মুণ্ডুমালা বাজারে ৪টি স’মিল আছে এবং অসংখ্য কাঠ-খড়ি বিক্রেতা আছে।
এই স’মিলগুলো ও কাঠ-খড়ি বিক্রেতাদের গুদাম ঘরে তল্লাশি করলে- দূষ্কৃতবানদের কাছ থেকে স্বল্প মূল্যে কেনা সরকারী শত-শত গাছের গুল ও কাঠ-খড়ি পাওয়া যাবে।
মরা গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির তরতাজা গাছ কেটে ফেলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ঝুঁকির মুখে ফেলে তাদের নিজ স্বার্থ হাসিল করতে মরিয়া হয়ে উঠে পড়ে লেগেছেন এই মুণ্ডুমালা বাজারের স’মিল মালিকরা ও দূষ্কৃতবানরা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মুণ্ডুমালা পৌরসভা প্রোপারের স্থানীয় বাসিন্দা ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শরিফ খাঁন বলেন; বিগত পৌর মেয়রের জৈনেক এক ভাই খাড়ির দুপাশে গাছ নিধনের হোতা, আর তাদেরই ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠা তাদের ইন্দনদাতা হিসেবে চিহ্নিত মেয়র সাইদুরের দুষ্কৃতকারী বাহিনীদের দ্বারা সরকারী মালামাল ক্ষতিসাধন করা কোনো বিষ্ময় কিছু না!
তিনিসহ পূর্বের মেয়র জলবায়ু পরিবর্তনের কোটি কোটি তসরূপ করার ফলে ও জলবায়ু পরিবর্তনে পৌর এলাকায় কোনো বৃক্ষ রোপন না করায়; এই এলাকায় সুপেয় পানিসহ গভীর নলকূপের ভূগর্ভের পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে।
আগামী ১০ বৎসর পর এই এলাকায় সুপেয় পানির অভাবে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলেও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ও বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষের পূর্বাভাস রয়েছে।
অন্যদিকে মুণ্ডুমালা পৌরসভাসহ আশপাশের এলাকার খাড়ি গুলোর দুই পাশের যে সরকারী গাছগুলো ইতিপূর্বে চোখে পড়তো- তা এখন আর তেমন চোখে পড়েনা।
তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসীর উদ্যাত্ব আহ্বান; তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা পৌরসভাসহ বিভিন্ন এলাকায় যে সকল সরকারী গাছগুলি মারা গেছে ও বয়োবৃদ্ধ হয়ে রয়েছে- তা দূষ্কৃতিবানদের হাত থেকে রক্ষার্থে- টেণ্ডারের মাধ্যমে অকশান দিয়ে নতুন নতুন প্রজাতির ফলজ, বনজ ও ঔষধি বৃক্ষরোপণ করে জলবায়ু পরিবর্তনে এলাকায় সহায়ক পরিবেশ তৈরীতে ভূমিকা পালন করা হোক।
এই বিষয়ে মেয়র সাইদুর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি বলেন; আমি তাদের সাথে জড়িত; এসব মিথ্যা কথা- আমি এবিষয়ে কিছুই জানিনা, তবে জহির স’মিলের মালিক জহির উদ্দীন এইরকম কাজের সাথে নাকি জড়িত; এটা আমি লোক মুখে শুনেছি। এই বলে সে তার মুঠোফোন বন্ধ করে দেন।