রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি (এম শামসুল আলম) :
রাজশাহী জেলাধীন তানোর উপজেলার অন্তর্ভূক্ত- মোহর উচ্চ বিদ্যালয় এর সহকারী শিক্ষক মৃত এনামুল হকের অবসর কালীন ভাতা অন্য ওয়ারিশদের ফাঁকি দিয়ে উত্তোলনের চেষ্টা করছেন দ্বিতীয় স্ত্রী লাইলি বেগম।
এঘটনায় মৃত শিক্ষক এনামুল হকের বড় পুত্র সোহানুল হক পারভেজ বাদি হয়ে তানোর থানায় এবং জেলা শিক্ষা অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পাঁচান্দর ইউপি চেয়ারম্যান, সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারসহ বিভিন্ন দপ্তরে আজ ১১ এপ্রিল-২০২৩ একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে; তানোর উপজেলার মোহর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এনামুল হক চাকুরীরত অবস্থায় ২ স্ত্রী, ২ কন্যা, ও ২ পুত্র সন্তান রেখে গত ১২ এপ্রিল-২০২০ সালে মৃত্যু বরণ করেন।
এ অবস্থায় মৃত শিক্ষক এনামুল হকের হিসাব নাম্বারটি বন্ধ করে তার দ্বিতীয় স্ত্রী লাইলী বেগম তার নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য অন্য ওয়ারিশদের ফাঁকি দিতে নিজের নামে একটি হিসাব খুলেন, যার নাম্বার (৪৬২৩৫০১০২৪০৮১)।
সেই অনুপাতে মৃত শিক্ষক এনামুল হকের কল্যাণ ভাতার টাকা দ্বিতীয় স্ত্রীর নমীনীয় হিসাব নাম্বারে আসবে।
ইতিমধ্যে তার ব্যাংক লোন থাকায়- তা হতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই কল্যাণ ভাতার টাকা মৃত শিক্ষক এনামুল হকের লোন পরিশোধ করে সমন্নয় করেন।
বর্তমানে মৃত শিক্ষক এনামুল হকের অবসর কালীন ভাতার প্রায় সম্ভাব্য ৩০ লাখ টাকা দ্বিতীয় স্ত্রী লাইলী বেগমের হিসাব নাম্বারেই আসবে।
সে প্রক্ষিতে মৃত শিক্ষক এনামুল হকের অবসর কালীন ভাতার টাকা তার দ্বিতীয় স্ত্রী লাইলী বেগম একাই আত্নসাতের চেষ্টা করছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এনিয়ে ইতিপূর্বে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে উভয় পক্ষ বসে মৃত এনামুল হকের ঋণ পরিশোধ করে যে টাকা অবশিষ্ট থাকবে, তা ওয়াশিসগনের মধ্যে ভাগ বন্টন করার প্রতিশ্রুতি ও যৌথ একাউন্ট করার কথা থাকলেও তিনি নিজ নামে একাউন্ট করেন, সকল বিচারকগন সামনে সহি-স্বাক্ষর করেন, কিন্তু এখন তিনি নিজস্বার্থে উক্ত টাকা আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা করছেন।
এঅবস্থায় মৃত শিক্ষক এনামুল হকের অবসর কালীন ভাতার টাকা সকল ওয়ারিশগনের মধ্যে অংশ মোতাবেক বন্টন করা আবশ্যক।
তা না হলে যে কোনো মুহূর্তে অপৃতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
বিধায় বিষয়টি সুষ্ঠ সমাধানের জন্য মৃত্যু শিক্ষক এনামুল হকের বড় পুত্র তানোর থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এবিষয়ে মৃত শিক্ষক এনামুল হকের দ্বিতী স্ত্রী লাইলী বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন; আমার নামে নোমিনী করা আছে, তাই অবসর কালীন ভাতার টাকা আমিই একাই পাবো, এখানে কারো কোন কিছু করার নাই বলে দামভক্তি প্রকাশ করেন।
এবিষয়ে মৃত শিক্ষক এনামুল হকের বড় পুত্র সোহানুল হক পারভেজ বলেন; ওয়ারিশগনের মধ্যে যেন অবসর কালীন ভাতার টাকা সুষ্ঠ ভাবে বন্টন করা হয়, না হলে মৃত এনামুল মাষ্টারের বাড়ীসহ সকল স্থাবর-অস্থাবর সুষ্ঠ ও সঠিক ভাবে বন্টনের জন্য জব্দ করা হবে। এজন্য তিনি উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের সুদৃষ্টি ও আসু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন; এটি শিক্ষা অফিসার ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিষয়, আমি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই বলে তিনি অভিযোগকারীকে আশ্বাস দেন।।