রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি (এম শামসুল আলম) : রাজশাহী জেলাধীন তানোরর উপজেলা আওতাধীন- তানোর পৌর-শহরে আরাত এগ্রো কর্তৃপক্ষ ৪৮০ টাকা কেজি দরে- ওজনে বিক্রি করছেন আসন্ন কোরবানীর গরু। এ বছর কোরবানীর জন্য উপযোগী হয়েছে ৫২ টি ষাঁড়। যার বাজার মূল্য নির্ধারন করা হযেছে ১কোটি ২০লক্ষ টাকা।
তানোরে এবার এই প্রথম অনলাইনে গরু বিক্রি ও বুকিং নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে আরাত এগ্রো কর্তৃপক্ষ।
ইতোমধ্যেই সেখানে লাইফ ওয়েটে গরুর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
এলাকার প্রত্যা সংশ্লিষ্টরা বলছেন; দেশে মাংসের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে কাজ করছেন তারা। এছাড়া সারাদেশ থেকে গরু কেনার অর্ডার পাচ্ছেন তারা । অনেকেই কোরবানীর জন্য গরু কিনেন ঈদের আগের দিন ও কোরবানীর দিনে সকালেও। সেইদিক বিবেচনা করে আরাত এগ্রোর গাড়িতে করে কোরবানির গরু গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। বর্তমানে কোরবানির গরু বুকিং ছাড়াও অনলাইনে অর্ডারের সুযোগ ও রাখা হয়েছে এখানে ।
রাজশাহী বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছে আরাত এগ্রো থেকে। এখানে শাহীওয়াল, ফ্রিজিয়ান ক্রস, দেশি, গ্রির বা নেপালি জাতের ষাঁড় এবছর কোরবানীর জন্য বিক্রি করা হচ্ছে। একেকটি গরুর ওজন ৩৫০থেকে ৬০০ কেজি বা তারও উপরে।আকার ও কালার ভেদে দাম নির্ধারন করা হয়েছে।
রাজশাহীর তানোর উপজেলার গোল্লাপাড়া বাজারে ১ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠা করা হয় আরাত এগ্রো। শুরুতে ৫২টি ষাঁড় পালনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় আরাত এগোর অগ্রযাত্রা। এখানে ষাঁড়, মহিষ ও ছাগল লালন-পালন করা হচ্ছে।
‘লাইভ ওয়েট’ দিয়ে গরু বিক্রির কারণ হিসেবে আরাত এগ্রোর প্রোপাইটার, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আওয়ামী লীগ নেতা- আলহাজ্ব আবুল বাসার সুজন বলেন; এ পদ্ধতিতে ক্রেতারা পরিকল্পনা মাফিক তাদের পছন্দ মতো গরু কিনতে পারবেন। ফলে ক্রেতাগণ ঠকবেননা বা তাদের কোন লোকসান হবেনা। এছাড়াও আমাদের গরুকে কোনো ধরনের মেডিসিন খাওয়ানো হয় না। প্রাকৃতিক সবুজ ঘাস ও ধানের খড় খাওয়ানো হয়।
তিনি আরও বলেন; ‘লাইভ ওয়েট’ দিয়ে গরু বিক্রিতে- ক্রেতাকে আকৃষ্ট করার বিষয় থাকে। তবে এই দাম নির্ধারণ সম্পর্কে তাঁরা ক্রেতাকে পুরো হিসাবই বুঝিয়ে দেন।
এ বিষয়ে তানোর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা সুমন মিঞা বলেন; গরুর ওজনের হিসাব করে বিক্রি করলে ক্রেতা জানবেন তিনি কত কেজি পর্যন্ত মাংস পাবেন। এ ছাড়া এই পদ্ধতিতে বিক্রি করলে স্বচ্ছতাও থাকবে শতভাগ।।