অনলাইন ডেস্ক : নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজধানীতে রাজনৈতিক কর্মসূচি বেড়েছে। ঢাকা মহানগর এলাকায় রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে যাতে কেউ কোনো আগুন সন্ত্রাসসহ নাশকতা করতে না পারে, সেদিকে পুলিশ কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
সোমবার রাজারবাগের বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে গত এপ্রিল মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপি কমিশনার এই নির্দেশ দেন।
এতে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস্) কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) একেএম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) আসাদুজ্জামান, যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-কমিশনারগণসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইনশৃঙ্খলার যাতে অবনতি না ঘটে সেদিকে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলেন ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। ঢাকা শহরের অপরাধ প্রতিরোধে সবাইকে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে বলে নির্দেশনা দেন কমিশনার।
পবিত্র রমজান মাস ও ঈদ-উল-ফিতরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক থাকায় ডিএমপির সব স্তরের অফিসার ও ফোর্সদের ধন্যবাদ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, চুরি-ছিনতাই প্রতিরোধ ও মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে ডিএমপির ক্রাইম বিভাগ ও ট্রাফিক বিভাগকে এক সাথে কাজ করতে হবে।
এ মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ঢাকা মহানগরের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডিএমপির মিডিয়া এন্ড পিআর বিভাগসহ ৭টি বিভিন্ন বিভাগ ও বিভিন্ন পদ মর্যাদার ১০২জন অফিসার ও ফোর্সকে পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।
ডিএমপির ক্রাইম বিভাগের শ্রেষ্ঠ যারা:
এপ্রিল মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ঢাকা মহানগর পুলিশের আটটি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে তেজগাঁও বিভাগ ও শ্রেষ্ঠ থানা রমনা। শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী বিভাগ উত্তরা বিভাগ। সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মুজিব আহম্মেদ পাটওয়ারী।
পুলিশ পরিদর্শক তদন্তদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন- হাজারীবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান। পুলিশ পরিদর্শকদের (অপারেশনস্) মধ্যে প্রথম হয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস্) তোহাফাজ্জল হোসেন। শ্রেষ্ঠ এসআই নির্বাচিত হয়েছেন যৌথভাবে চকবাজার মডেল থানার এসআই কৃষ্ণ পদ মজুমদার ও পল্লবী থানার এসআই সজীব খান। শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই মাসুদুর রহমান।
শ্রেষ্ঠ এএসআই নির্বাচিত হয়েছেন যৌথভাবে তুরাগ থানার এএসআই ফেরদৌস মিয়া ও পল্লবী থানার এএসআই ফেরদৌস রহমান। অস্ত্র উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন পল্লবী থানার এসআই সজীব খান। বিস্ফোরক উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই কৃষ্ণ পদ মজুমদার। মাদক উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন পল্টন মডেল থানার এসআই সুজন কুমার তালুকদার এবং চোরাই গাড়ি উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন মতিঝিল থানার এসআই ইসমাইল হোসেন।
ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের শ্রেষ্ঠ যারা:
ঢাকা মহানগরের নয়টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার দেবাশীষ কর্মকার। অস্ত্র উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হলেন- গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন। মাদকদ্র্রব্য উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোস্তফা কামাল। চোরাই গাড়ি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার আশরাফুল ইসলাম। অজ্ঞান-মলম পার্টি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হলেন গোয়েন্দা রমনা বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার নাজিয়া ইসলাম।
ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের শ্রেষ্ঠ যারা:
ঢাকা মহানগরের আটটি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ। শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার বিমান কুমার দাস, কোতয়ালী ট্রাফিক জোন। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সাজ্জাদ খান, শাহবাগ ট্রাফিক জোন। শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট হয়েছেন যৌথভাবে শেরেবাংলানগর ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মামুনুর রশিদ ও রমনা ট্রাফি জোনের সার্জেন্ট মফিজুর রহমান।