অনলাইন ডেস্ক : রংপুর জেলায় এ বছর বর্ষা মৌসুমের মাস আষাঢ়ে অঝোর ধারার বৃষ্টিপাত হয়নি। তার ওপর কয়েকদিন ধরে এ অঞ্চলে খরা বিরাজ করছে। তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করায় প্রচন্ড তাপদাহে মাঠ-ঘাট শুকিয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড খরায় মাঠের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গরমে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এখানকার জনজীবন। তাই খরা ও অনাবৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টি চেয়ে সলাতুল ইস্তিস্কার নামাজ আদায় ও বিশেষ মোনাজাত করেছেন রংপুরের ধর্মপ্রাণ মানুষ।
আজ ১৯ জুলাই মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় রংপুরের প্রধান ঈদগাহ মাঠ কালেক্টরেট ময়দানে সলাতুল ইস্তিস্কার দুই রাকাত নামাজ আদায় ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করে সম্মিলিত ঈমাম পরিষদ রংপুর। কয়েকজন মুসল্লী জানান, প্রচন্ড তাপদাহে পুড়ছে রংপুরাঞ্চল। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে মানুষের জীবনযাত্রা। এই তাপদাহ ও অনাবৃষ্টি থেকে আল্লাহর নিয়ামত এর জন্য এই নামাজ আদায় করছি। চাষি একরামুল হোসেন নামাজ আদায় করতে এসেছেন প্রায় ১০ কিলোমিটার গংগাচড়া থেকে। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে আমনের আবাদ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন। বৃষ্টির অভাবে বর্ষাকালেও ডাঙা ও কিছু আবাদি জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। তাই খরা ও অনাবৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে দুই রাকাআত নামাজ আদায় করলাম। একরামুলের মতো আরো অনেকেই এসেছেন নামাজ আদায়ে। ক্বারী আতাউল হক বলেন, এ বছর তেমন বৃষ্টি নেই। তাই আল্লাহর দরবারে দুই রাকাত নামাজ পড়ে দোয়া করেছি। আল্লাহ যেন এই পরিস্থিতির অবসান ঘটান। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি ও তাপদাহ থেকে মুক্তির জন্য ও আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। নামাজে ঈমামতি ও মোনাজাত পরিচালনা করেন রংপুরের ঐতিহাসিক কেরামতিয়া মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা বায়েজিদ হোসাইন। বৃষ্টি চেয়ে নামাজ আদায় ও আল্লাহর দরবারে দোয়া মোনাজাতে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫ হাজার মুসল্লী এতে অংশ নেন।
এমন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে ও মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনসহ আনুগত্য প্রকাশে এই নামাজ আদায় করা হয়েছে বলে জানান আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাফিজুল ইসলাম।