রংপুর জেলা প্রতিনিধি : রংপুরের পীরগাছায় স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ গর্ত করে মাটিতে পুতে রাখার চাঞ্চল্যকর খবর বেরিয়ে আসে স্বামী যখন জিডি করতে আসেন। স্ত্রী নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে এলে স্বামী মানিক মিয়ার কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ গর্তে পুতে রাখার ঘটনা বেরিয়ে আসে।
শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে নিখোঁজ মিলি আক্তারের (৩০) পুঁতে রাখা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনাটি পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের বিরাহিম কুটিয়ালপাড়া এলাকায়।
পীরগাছা থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত গৃহবধূ মিলি আক্তার মানিক মিয়ার প্রথম স্ত্রী। তার সংসারে ১৪ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তিনি স্থানীয় সৈয়দপুর বাজারের একটি হোটেলে কাজ করতেন। গত বুধবার রাত ১১টা দিকে হোটেল থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে মিলি নিখোঁজ হন। এরপর আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজ নিতে থাকেন। কিন্তু কোথাও মিলির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না।
এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে থানায় মিলির বাবা আাশাদ আলীকে নিয়ে স্বামী মানিক মিয়া সাধারণ ডায়েরি করতে আসেন। এরই মধ্যে মানিক মিয়ার বাড়ির পেছনের পুকুরের কাছে একটি গর্ত থেকে কুকুরকে মরদেহ টেনে বের করতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান চালানোর পর মানিককে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রমেক মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এর আগে বৃহস্পতিবার মিলি বেগমকে খোঁজার নাম করে পালিয়ে যান নিহতের ভাসুর তৌহিদ মিয়া, শাশুড়ি রোকেয়া বেগম ও জা লাকি বেগম। নিহতের পিতা আসাদ আলী বলেন, ‘মানিক সম্প্রতি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ বিয়ে বৈধ করতে সে প্রায় মিলিকে কাগজে স্বাক্ষর করতে চাপ দিতে থাকেন। এ ঘটনার পর মিলি আমার বাড়িতে চলে আসে। বুধবার তাকে ডেকে নিয়ে মানিক মিয়া হত্যা করে। আমি আমার মেয়ে হত্যাকারীর ফাঁসি চাই।’
পীরগাছা থানা ওসি (তদন্ত) মো. আব্দুস শুকুর মিয়া বলেন, নিখোঁজের তিনদিন পর পুতে রাখা অবস্থায় ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য রমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মানিক মিয়াকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে নিহতের বাবা মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছেন।