যশোর জেলা প্রতিনিধি (ইমাদুল ইসলাম) : গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২৪ সকাল ৯ টায় অভয়নগর থানাধীন ভাটপাড়া দেব পাড়া মিলন কুমার দে এর স্ত্রী সবিতা রানী দে (৫০) বাড়ির পাশে গরুর খাদ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। খোজাখুজির একপর্যায়ে ২৪ সেপ্টেম্বর রাত ৭ টা ৩০ মিনিটের সময় পাশের বাড়ির রমজান আলীর ছেলে নিয়ামুল এর টয়লেটের সেফটি টেংকির মধ্যে সবিতা রানীর লাশ পাওয়া যায়। বাড়ির মালিক রমজান ও তার ছেলে এ সময় পলাতক থাকে।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যকর হওয়ার কারণে যশোর পুলিশ সুপার জিয়া উদ্দিন আহমেদ এর নির্দেশে তদন্তে মাঠে নামে থানা ও যশোর ডিবি পুলিশের পৃথক অভিযানিক টিম। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির এসআই মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম ফরিদপুর ভাঙ্গা থানাধীন আব্দুল্লাহবাদ এলাকায় ২৫ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে ভাটপাড়া গ্রামের মৃত আজিজ শেখের পুত্র রমজান শেখকে গ্রেফতার করে। পরে তারই দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভয়নগর থানা পুলিশ অভয়নগর থানাধীন ভাটপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে রমজান আলীর ভাই ইউসুপ শেখ কে গ্রেফতার করে এবং নিয়ামুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা জানায় পলাতক আসামী নিয়ামুল এর মুরগীর ফার্ম এ শিয়ালের উপদ্রপ থেকে বাঁচার জন্য চারপাশে ইলেক্ট্রিক গোপন লাইন লাগায়। ভিকটিম সবিতা গরুর ঘাস কাটার জন্য ফার্মের পাশে গেলে ইলেক্ট্রিক সটে মৃত্যু বরণ করলে আসামীরা, ঘটনার দায় থেকে বাঁচতে সবিতা রানীর মৃতদেহ সেফটি ট্যাংকি ফেলে গোপন করার চেষ্টা করে।
এই ঘটনা সংক্রান্তে নিহতে স্বামী মিলন কুমার দে বাদী হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করলে অভয়নগর থানার মামলা নং ১৩। তাং ২৫/৯/২৪ ধারা- ৩০২/২০১/৩৪। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে জবানবন্দী প্রদান করে।