সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার ৭টি উপজেলার ২৫ লাখ মানুষের আধুনিক চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসাস্থল সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (সামেক)। জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়।
এরপর ২০১৭ সালে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে ২৫০ শয্যা নিয়ে চালু করলেও বর্তমানে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে এই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি।
পার্শ্ববর্তী জেলা খুলনা ও যশোরের কয়েকটি উপজেলার রোগীরাও এখানে আসছেন চিকিৎসা নিতে। প্রতিনিয়ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কিন্তু রোগী সেবার পরিবর্তে নিজেই এখন রোগী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে হাসপাতালটি।
ভুক্তভোগী রোগী সাধারনের অভিযোগে জানা গেছে, এখানে কর্মরত নার্সরা কোন রোগিকেই সেবা দেন না। ডিউটি রুমে বসে খাসগল্পে মত্ত থাকেন তারা। ওয়ার্ড বয় দিয়ে রোগিদের ঔষধ দেয়া হচ্ছে।
এখানে ইন্টার্নী ডাক্তারদের দিয়ে রোগিদের ট্রিটমেন্ট দেয়া হচ্ছে। এ হাসপাতালে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার যথা সহকারি প্রফেসর, সহযোগি প্রফেসর কাউকেই হাসপাতালে পাওয়া যায় না।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় সমস্ত হাসপাতাল জুড়ে কুকুর-বিড়ালের অবাধ চলাচল। রোগি ও ডাক্তারের চলাচলের জন্য ব্যাবহারিত লিফট গুলো অচল।
লিফটের বিষয়ে কথা বলার জন্য সেখানকার কর্মরত লিফট অপারেটর মো: আরিফ হোসেনের সাথে কথা বলতে চাইলে তাকে কোথাও খুজে পাওয়া যায়নি। পরবর্তিতে লিফটের পাশের দেয়ালে দেওয়া তার মোবাইল নম্বরে কথা বললে সে বিভিন্ন অযুহাতের মাধ্যমে লিফট বন্ধের বিষয়টা এড়িয়ে যান।
তাছাড়া হাসপাতালের বাথরুমগুলোর অবস্থা খুবই শোচনীয়। দীর্ঘদিন পরিস্কার না করায় গোটা হাসপাতাল জুড়ে দুঃগন্ধময় পরিবেশ বিরাজ করছে। অথচ সেখানে কাগজে কলমে কর্মরত রয়েছে ডজন খানেক সুইপার। রোগীদের বহনের জন্য নেই কোন হুইল চেয়ার এবং ট্রেসারগুলো সব ভাঙ্গাচুরা। খাবার দেয়া হচ্ছে নিন্মমানের। সব মিলিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এখন নিজেই রোগী হয়ে বসে আছে।
এছাড়াও নানারকম দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে এই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বিরুদ্ধে।