মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার টেংগারচর ইউনিয়নের বড়ইকান্দি ভাটেরচর গ্রামের মৃতঃ মোহন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া মনির হোসেন(৪২) এর স্ত্রী রোজিনা আক্তার(৩৫)কে গেলো ২৯ তারিখ ঈদের দিন ঘরে ঠুকে বাড়ির বর্তমান মালিক মোহাম্মদ আলী ওরফে রাসেল(৪০) সহ তার সহদর আমজাদ এর উপর জোরপূর্বক গলায় ছুটি ধরে মারধর, মোবাইল ফোন, নগদ অর্থ সহ শ্লীলতাহানীর অভিযোগ করে ভাড়াটিয়া মনির হোসেন এর স্ত্রী রোজিনা বেগম।
মনির জানান,ভাড়াবাসার মালিক মোহাম্মদ আলী রাসেল সব সময় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকে।ঈদের দিন রাসেল ভাড়াটিয়া মনির কে বলে তর ঘর খালি আছে মনির জানান আছে,পরে সকাল আনুমানিক ১২টায় তার ঘরে ঢুকে সাথে আরেক জনকে নিয়ে মাদকদ্রব্য সেবন করে।পরবর্তীতে পূণরায় মোহাম্মদ আলী রাসেল সহ আমজাদ ভাড়াটিয়া মনিরের ঘরে ঢুকে মাদক সেবক করিতে চাইলে ভাড়াটিয়া মনির না করলে জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে মাদক সেবক করে,আসার সময় থাপ্পর দিয়ে তার ঘরে তাদের ব্যবহীত মোবাইল ফোন নিয়ে যায় রাসেল এবং বলে ৫০ মিনিট পর আমার বাসা থেকে নিয়ে আসবি তুই।ভাড়াটিয়া মনির ভয়ে রাসেল এর বাড়ি না যায়নি,রাসেল আবার মনিরের ঘরে ঢুকে গালিগালাজ করিতে থাকে। তখন মনির গালিগালাজ করতে না করলে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে রাসেল মনিরকে ঘরের বিতর টেনে নিয়ে আটকিয়ে তার গলায় ছুটি ধরে বলে তকে মেরে ফেললে তর কোন বাপ আসবে আমার কাছে।আমার ঘরে আমাকে ঢুকতে দিতে চাষনা।এ কথা বলেই মনির করে এলোপাতাড়ি তিন দফায় মারধর করে রাসেল,তার মার খেয়ে মনির যেখানেই যায় সেখানেই মাদক সেবক অবস্থায় রাসেল মনির কে মারে, রাসেল এর হাতে থাকা ছুরির উল্টোপিট দিয়ে মনিরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে যা কাটাছেঁড়া নীলাফুলা জখম করে।ভাড়াটিয়া মনির এর চিৎকার এ মসজিদের ইমাম সহ আশেপাশে অনেক মানুষ জমে যায় তবে রাসেল এর ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনা।এক পর্যায়ে রাসেল মনিরের ঘরে আবার আক্রমণ করলে মনির দৌড়ে পালিয়ে যায়।
মনির এর স্ত্রী রোজিনা জানায় ঈদের দিন সকালে সন্তানের নিকট ঢাকা জান।সে জন্য সকালে স্বামীর সঙ্গে কি ঘটেছে রোজিনা কিছুই জানে না।আনুমানিক বিকেল ৬টার সময় রোজিনা বাসায় এসে ঘরে ঢুকে দেখে তার ঘরের সমস্ত কিছু উলটপালট করে সমস্ত ঘর ছড়িয়ে আছে। ঘরে ঢুকতেই রাসেল এবং আমজাদ রোজিনার গলায় ছুরি ধরে রুমের দরজা বন্ধ করে দেয় ভয়ে রোজিনা চিৎকার ও করতে পারছিলনা,তার গলায় থাকা আটআনা চেইন এবং কানে থাকা চারআনা স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নেয়।আমার শ্লীলতাহানির উদ্দেশ্যে রাসেল আর আমজাদ আমার শরীরে বিভিন্ন স্থানে হাত দিতে থাকে আমার পরিহিত জামা টি টেনে তারা বিভিন্ন স্থানে ছিড়ে ফেলার এক পর্যায়ে আমাকে খাটের উপর ফেলে দেয়,আমি তাদের দুইজনের সঙ্গে পারতেছিলাম না,দস্তা-দস্তির একপর্যায়ে আমি তাদের ধাক্কা দিয়ে কোনো রকমে দরজা খুলে চিৎকার দিয়ে দৌড়ে বাহিরে এসে আমি রাসেল এবং আমজাদ এর কবল হতে নিজেকে রক্ষা করি।
আমার ঘরে থাকা আমার ঈদের বেতন,ননদ এর বেতন, স্বামীর কাজের টাকা সহ মোট ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায় রাসেল এবং আমজাদ।রাসেল একে সব সময় মাদক সেবন করে তাছাড়া সে এর আগে কয়েক বার আমাকে খারাপ প্রস্তাব দিয়েছে এতে আমি রাজি হয়নি বলে সে আজ আমার সঙ্গে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মনে করি।আমরা তাদের বাসায় প্রায় তিন বছর যাবত ভাড়া থাকি।
এ বিষয়ে রাসেল এর মা সহ তাদের আত্মীয়দের নিকট বিচার তাইতে দিয়ে আজ তিন দিন হলো আমাদের কোনো বিচার করেনি।আমাদের বাসায় ও যেতে দিচ্ছে না তারা।রাসেল হাতে ছুটি নিয়ে ঘুরে আমাদের বাড়িতে ঢুকিয়ে দিচ্ছেনা।আমার স্বামী কে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপপরিদর্শক আইরিন সিদ্দিকা জানায় অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।