অনলাইন ডেস্ক : মগবাজার বিস্ফোরণে সর্বশেষ রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ০৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত রয়েছে আরও অর্ধশতাধিক মানুষ। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ও আশপাশের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
০৬ জন নিহত হওয়ার নিশ্চিত করেছেন রমনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ফয়সালুর রহমান।
তিনি জানান, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রে বিস্ফোরণের কথা প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হলেও ঠিক কোথায় থেকে বিস্ফোরণ ঘটলো তা তাৎক্ষণিভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বিস্ফোরণে ভবনটির নিচতলার ভেতরেই ঘটেছে। ওই বিস্ফোরণে আমরা ঘটনাস্থল থেকে মোট ০৬ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছি। আহত ও নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।
০৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইয়ুব হোসেন।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা চারজনকে রিসিভ করেছি। তাদের মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানাতে পারব।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মগবাজারের বিস্ফোরণের ঘটনায় তাদের এখানে ৩৬ জনকে আহত অবস্থায় ভর্তি করানো হয়েছে।
আশঙ্কাজনক আহতরা হলেন- রাসেল (২৪), জাকির হোসেন (৪০), স্বপন (২২), নয়ন (৩২), মোতালেব (৪০), আবুল কালাম (৩৫), মো. পইমল হোসেন (৪০), মোস্তাফিজ (৪৫), নবী (২৮), আজাদ (৩৫)। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ৩৬ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী পথচারী জান্নাত আরা বলেন, ঘটনাস্থলের অদূরে একটি ভবনে নীচে তিন দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় বিকট তিনি শব্দ শুনতে পান। তিনি যে ভবনের নিচে ছিলেন, সেটির কিছু পলেস্তারা ধসে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের ওপর পড়ে। এরপর ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়। সেই আগুন উড়ালসড়কের ওপরে ও নিচে যাত্রীবাহী বাসে ছড়িয়ে পড়ে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বাসযাত্রী সৈয়দ ইকবাল হোসেন (৫০) বলেন, বাসটি মগবাজার ফ্লাইওভারের নিচে পৌঁছালে ফ্লাইওভারের ওপরে একটি বাসে আগুন জ্বলতে দেখেন। সেই বাস থেকে চূর্ণবিচূর্ণ কাচ ও আগুনের ফুলকি নিচে পড়তে থাকে। এরপর তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। চেতনা ফিরলে দেখেন তিনি হাসপাতালের বিছানায়।
এর আগে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদরদফতরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন বলেন, আমরা একটি এসি বিস্ফোরণ হওয়ার সংবাদ পেয়েছি। কেউ কেউ আবার ফোন করে বলেছে গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণ। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট কাজ করেছে।
রমনা থানার ডিউটি অফিসার এসআই আবুল খায়ের বলেন, সেখানে ট্রান্সমিটার বিস্ফোরণ হয়েছে বলে শুনেছি। এখনো নিশ্চিত হতে পারছি না। পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম সেখানে আছে।