মানবচিত্র ডেস্ক : ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের জ্যাকেটে যুক্ত হয়েছে কুইক রেসপন্স কোড বা কিউআর কোড পোশাক। ডিবির সব সদস্যকে পৃথক কোড সংযুক্ত করে এ জ্যাকেট দেওয়া হয়েছে। ডিবির প্রকৃত সদস্য কিনা সন্দেহ হলে এ কিউআর কোড স্ক্যান করে সঠিক তথ্য যে কেউ জানতে পারবেন।
সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
ডিবি পুলিশের তথ্য মতে যা আছে এ জ্যাকেটে— ডিএমপি ডিবির নতুন জ্যাকেটে প্রথম গোপনীয় নম্বর, গোয়েন্দা বিভাগ এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সমন্বয়ে কুইক রেসপন্স কোড বা কিউআর কোডের ব্যবস্থা থাকছে। সন্দেহ হলেই যে কেউ ডিবি পোশাকে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করে ওই ব্যক্তি ডিবির প্রকৃত সদস্য কি না তা শনাক্ত করতে পারবেন। নতুন জ্যাকেটে ডিবি এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রঙিন লোগো ব্যবহার করা হচ্ছে যা সহজেই দৃশ্যমান হবে। জ্যাকেটে রাত্রিকালীন আলোতে দূর থেকে ডিবি পুলিশের উপস্থিতি বোঝা যাবে। নতুন ডিবি জ্যাকেটে বিভিন্ন পকেটের সুবিধা থাকাতে অভিযানকালে ডিবি সদস্যরা প্রয়োজনীয় নোটবুক, কলম ও কাগজপত্র নিরাপদে রাখতে পারবেন।
ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আজ থেকে আমাদের ডিবির সব সদস্যদের পৃথক কিউআর কোড সংবলিত নতুন জ্যাকেটে যুক্ত হয়েছে। এ জ্যাকেটে কর্মকর্তাদের তথ্য আগে থেকেই জমা থাকবে ডিবির নিজস্ব সার্ভারে।
হারুন অর রশীদ বলেন, ডিএমপির ডিবি পুলিশ যে জ্যাকেট পরিধান করে অভিযান চালাচ্ছেন, তা বেশ পুরোনো। দীর্ঘদিন ধরে এ জ্যাকেট ব্যবহারের ফলে অনেক প্রতারক চক্র বাইরে থেকে এটি তৈরি করে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করে। অনেক সময় মানুষকে ফাঁদে ফেলারও অভিযোগ পাওয়া যায়। বিভিন্ন সময় জ্যাকেটের হুবহু কপি ভুয়া ডিবি সদস্যদের কাছে পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, মোবাইল অ্যাপ দিয়ে সদস্যের কিউআর কোড স্ক্যান করলেই তাদের পরিচয় চলে আসবে। আর যদি কোনো ভুয়া ডিবির পোশাকের কোড স্ক্যান করা হয় তাহলে ‘ইনভ্যালিড কিউআর কোড’ নামে একটি বার্তা দেখা যাবে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কেউ যেন এভাবে প্রতারণার শিকার না হয় সেজন্য ডিবিতে সংযোজন করা হয়েছে নতুন জ্যাকেট। কিউআর কোড ছাড়াও পোশাকে এমন কিছু নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা রয়েছে যার ফলে জ্যাকেটটি জালিয়াতি করা অসম্ভব হবে।