সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি’র কেন্দ্রীয় সংগঠক নির্বাচিত হয়েছেন সাতক্ষীরার কৃর্তিসন্তান ডা. মো. মুনসুর রহমান। শুক্রবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে মোবাইল কনফারেন্সের মাধ্যমে পার্টি’র পুননির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ১০ম কংগ্রেসের সমাপ্তি অধিবেশনে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা’র পাশাপাশি সাত সদস্যবিশিষ্ট রাজনৈতিক পরিষদ এবং ১৪ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় সংগঠক নির্বাচিত করা হয়।
এর আগে ৬ জানুয়ারি উদ্বোধনী সমাবেশ, র্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে পার্টির এ কংগ্রেস শুরু হয়েছিল। উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মাছখোলা পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদ সরদার এর ছেলে ডা. মো. মুনসুর রহমান ইতিপূর্বে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাতক্ষীর জেলা কমিটি’র সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। পেশাগত কাজের পাশাপাশি অধিকার বঞ্চিত মানুষদের সাথে নিয়ে বিগত দিনে আন্দোলন-সংগ্রাম করে জেলার পাশাপশি দেশের অভ্যন্তরের লাখো জনমানুষের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
তিনি পলাশপোল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৭ সালে এসএসসি, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে ২০০৯ সালে এইচএসসি, সীমান্ত আদর্শ ডিগ্রী কলেজ থেকে ২০১৩ সালে অনার্স (বাংলা), সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে ২০১৪ সালে মাস্টার্স (বাংলা) কোর্স সম্পন্ন করেন। এছাড়াও সাতক্ষীরা ডি.বি. খান হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল থেকে ২০১৬ সালে ডিএইচএমএস কোর্স সফলতার সাথে সম্পন্ন করেন। এবং আবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড কর্তৃপক্ষ তাকে রেজিস্টেশনভুক্ত চিকিৎসক হিসেবে একটি সনদ প্রদান করেন। সেটি গ্রহণপূর্বক পেশাগত কাজের পাশাপাশি আব্দুল ওয়ারেশ খান চৌধুরী সম্পাদিত সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক সূর্যের আলো পত্রিকার বার্তা সম্পাদক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ সম্পাদিত দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার ডেস্ক ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন।
উপরিউক্ত বিষয়ে ডা. মো. মুনসুর রহমান বলেন, আমাকে কেন্দ্রীয় সংগঠক নির্বাচিত করায় পার্টি’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হকসহ অন্যান্যদের জানাই বিপ্লবী শুছেচ্ছা। সম্প্রতি দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ অত্যন্ত দুর্বিষহ। আগামী দ্বাদশ নির্বাচন কেন্দ্রিক এই নির্বাচনী বছরে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন ঘটছে নানান অরাজকতা, মারামারি-হানাহানি। বিরোধী দলের নেতাকর্মীসহ অধিকাংশ সাধারণ মানুষকে করা হচ্ছে বিভিন্নভাবে হয়রানি। এমনকি করোনা পরবর্তী সময়ে বেকারগ্রস্ত কয়েক কোটি মানুষ আজও স্বস্তিতে ফিরতে পারেনি। তাদের পাশাপশি হতদরিদ্র-নিন্মবৃত্ত মানুষেরা নিত্যপণ্যের দাম বহুগুণে বেড়ে যাওয়ায় দিশেহারা। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জননেতা সাইফুল হক আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে তা আমি পেশাগত কাজের পাশাপাশি করতে সচেষ্ট থাকবো।