অনলাইন ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উড়ে এসে জুড়ে বসেননি বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একজন নেত্রী যিনি দুই শিশুপুত্র নিয়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনীর কারাগারে ছিলেন। তিনি উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। দীর্ঘ নয় বছর জনগণকে সাথে নিয়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিল। তিনি এখনো কারাগারে রয়েছেন গণতন্ত্রের জন্য।
শুক্রুবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ন্যাশনাল পিপল্স পার্টি-এনপিপি’র ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবীতে’ এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।
গনতন্ত্রে এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি আলাদা করে দেখার কোন অবকাশ নেই উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হলে, জনগণকে রক্ষা করতে হলে, গনতন্ত্রের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে, আমাদের বাতিঘর বেগম খালেদা জিয়াকে সুষ্ঠু করতে হবে, মুক্তি করতে হবে।
ভিত্তিহীন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে টাকার কথা তারা বলেছে, যে টাকার মামলায় নেত্রীর সাজা হয়েছে সেই টাকা এখন ব্যাংকে তিন গুণ ৪ গুন হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা প্রতিশোধ এবং অহংকার এবং দাম্ভিকতা কারণে আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এভাবে কারাগারে রাখা হয়েছে। কারণ তারা জানে যদি বেগম খালেদা জিয়া বাইরে থাকে তাহলে জনগণকে সঙ্গে করে গনতন্ত্র পূর্নুদ্ধার করতে সক্ষম হতেন।
তিনি বলেন, দেশকে বাঁচাতে হলে, আমাদের স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হলে, আমাদের জনগণকে রক্ষা করতে হলে, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সুস্থ করতে হবে, মুক্ত করতে হবে। তার সাথে আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জড়িয়ে আছে।
বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে তার পরিবার আবেদন করেছিলেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী বলেছেন ‘আইনে কোনো সুযোগ নেই’। এটা ডাহা মিথ্যা কথা। আইনে সুযোগ রয়েছে। যে ৪০১ আইনের কথা তারা বলছে, সেই আইনের মধ্যেই বলা আছে সম্পূর্ণ একতিয়ার সরকারের আছে। সরকার চাইলে তাকে মুক্তি দিতে পারেন। সরকার চাইলে তাকে বিদেশে পাঠাতে পারেন। সরকার চাইলে পুরোপুরি মাফ করে দিতে পারেন।
আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাগপা একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, এলডিপি একাংশের মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর প্রমুখ।