অনলাইন ডেস্ক : ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলছেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নের ফলে বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা আরো এক ধাপ এগিয়ে যাব। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি আরো জোরদার হবে।
আইজিপি আজ সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে বাংলাদেশ পুলিশের ৩৬টি ইউনিটের প্রধানগণের সাথে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষরকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো: কামরুল আহসান বিপিএম (বার) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ ১৭টি ইউনিটের প্রধানগণ উপস্থিত থেকে এবং প্রথমবারের মত ঢাকার বাইরের ১৯টি ইউনিটের প্রধানগণ ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে এপিএ স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআর) ব্যারিস্টার মোঃ হারুন-অর-রশিদ বিপিএম। অতিরিক্ত আইজিপিগণ, বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানগণ এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ প্রধান বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা, মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমন এবং আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায় অত্যন্ত সাফল্যের সাথে কাজ করে যে সুনাম অর্জন করেছে তার ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাংলাদেশ পুলিশের কাজে আরও গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা আনবে।
আইজিপি বলেন, আমরা আমাদের সার্বিক কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে একটি দৃশ্যমান পরিবর্তন ও উন্নয়নের সূচনা করতে চাই। আমরা হতে চাই পরিবর্তনের প্রতিনিধি। আমাদের সৃজনশীল মেধা ও শ্রম প্রযুক্ত হবে রাষ্ট্রের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায়। আমাদের সকল কার্যক্রম হবে জনকল্যাণমুখী।
তিনি বলেন, আজ এপিএ চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কার্যক্রম আরো সুসংহত হবে।
আইজিপি বলেন, সরকারি কর্মকাণ্ডে দক্ষতা এবং দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, গতিশীলতা আনয়ন, সেবার মান উন্নয়ন এবং প্রতিষ্ঠানের কার্যকারিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৪-১৫ অর্থ বছর হতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগ পর্যায়ে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রবর্তন করা হয়। এর ফলে সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা সহজ হয়েছে।