অনলাইন ডেস্ক : বরগুনার বামনা উপজেলার লক্ষিপুরা গ্রামের ত্রিমুখি বাজারে অবস্থিত ইরা ব্রিকসএ গত ২৯ মার্চ বুধবার দুপুরে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এতে অনুসন্ধানে জানা যায় স্থানীয় হারুন, নিজাম ওরফে এসপি হারুন তার দলবল নিয়ে ইরা ব্রিকস এর অফিস ভাংচুর করে নগদ ৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
অভিযোগ পাওয়া গেছে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের প্রধান কখনো হারুন আবার কখনো নিজাম হারুন আবার কখনো এসপি হারুন নামে চলে তার বিভিন্ন এলাকায় পরিচিতি ।
দুর্ধর্ষ এই হারুন এলাকায় তার বেপরোয়া চলাফেরা নিজের ক্লিন ইমেজ ধরে রাখতে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পুলিশ অফিসারের সাথে সেলফি তুলে সামাজিক মাধ্যমে সেটি পোস্ট করেন। পিরোজপুরে একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি নজরুল চাকর সহ সেলিম পহলান,বাদল, ইব্রাহিম,দেবত্রের ইদ্রিস নতুন বাজারের, জাফর মল্লিক সহ প্রায় ৫০/৬০ জনের একটি দলের প্রধান এই নামধারী সন্ত্রাসী এসপি হারুন।
গত বুধবার দুপুরে এরাই ইরা ব্রিকস এ হামলা লুট ও ভাংচুর করেন। কিছুদিন আগে নজরুল ডাকাতের ভাই র্যাবের হাতে ক্রসফায়ারে নিহত হন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান স্থানীয় হারুন নিজাম ও নজরুল চাকরের একটি বিশাল বাহিনী রয়েছে যারা বরগুনার বামনা সহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে থাকেন এদের পিছনে শেল্টার হিসেবে থাকে ভদ্রবেশী মুখোশধারী হারুন নিজাম ওরফে এসপি হারুন তিনি ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান এলাকাবাসী।
গত ২৮ মার্চ রাতে এদের তাণ্ডবে এলাকার কোন মানুষ ও পুলিশ ঘুমাতে পারেনি সারা রাত পাহারা দিতে হয়েছে তাদের। এলাকার সকল মসজিদে মাইকিং করে মানুষকে সচেতন করা হয় ডাকাত আতঙ্কে। ইটভাটার মালিক আলহাজ্ব কোবির হোসেন জানান ব্যবসার কাজে আমাকে বেশির ভাগ সময় ঢাকায় থাকতে হয়। এলাকার বেশ কয়েকজন আমার শত্রুপক্ষের লোক ইরা ব্রিকসের মূল মালিক হুমায়ুন সাহেবের ভায়রা শাহজাহান মেম্বার ও পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ী ফরিদ মাওলানার সাথে মিলে আমার ইটভাটার অফিস থেকে ইটের স্লিপ চুরি করে নিয়ে মানুষের কাছে বিক্রি করে।
আমি ঢাকায় থাকায় সুযোগ পেয়ে আমার লোকদের মারধর করে ইটভাটা অফিস কক্ষ ভাঙচুর ও টাকা পয়সা লুট করে নেওয়া হয়েছে।
বামনা থানায় মামলা দেয়া হয়েছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মাইনুল ইসলাম বলেন,হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন ও সন্ত্রাসীদের থেকে ৫ টি মটর সাইকেল জব্দ করাহয়।
এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি আমি নিজ গিয়ে তদন্ত করেছি প্রচলিত আইনে মামলা দেয়া হয়েছে মামলা নং ০৯/২৩ কোনো আসামি এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি অভিযান অব্যাহত আছে।