মানবচিত্র ডেস্ক : ইন্টারনেট গেটওয়ে ইন্টারন্যাশনাল (আইআইজি) অপারেটরদের মধ্যে থেকে ১৯টির কাছ থেকে বকেয়া আদায়ে ৫৭২ জিবিপিএস ব্যান্ডইউথ ডাউন করে দিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি। এতে ইন্টারনেট ধীরগতির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানা গেছে। সাপ্তাহিক ছুটির কারণে রোববারের (২৬ নভেম্বর) আগে চলমান সমস্যার সমাধান হবে না বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) ৫০০ জিবিপিএস (গিগাবিট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ সীমিত করে দেয়। বিটিআরসির ৩৪টি আইআইজি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯টি আইআইজি প্রতিষ্ঠানের ব্যান্ডউইথ সীমিত করে রাখা হয়েছে। হঠাৎ করে ব্যান্ডউইথ সীমিত হয়ে যাওয়ায় ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটররা বিপাকে পড়েছে। গ্রাহকেরা ধীরগতির ইন্টারনেট সমস্যায় ভুগছেন।
বিএসসিপিএলসি বলছে, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত আইপিলসি ও আইপি ট্রানজিট সেবা বাবদ বর্তমানে বিভিন্ন অপারেটরের কাছে সাবমেরিন কেবল কোম্পানির বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯টি অপারেটরের কাছেই তারা পায় ১৮১ কোটি টাকা। বারবার তাগাদা দিয়ে টাকা আদায় করতে না পারায় বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহম্মদ গণমাধ্যমে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া পরিশোধ না করায় ওপর মহলের নির্দেশে ব্যান্ডউইথ বন্ধ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কোম্পানিগুলোর কাছে অনেকবার বকেয়া চাওয়া হয়েছে। তারা দেয়নি। গ্রাহকদের কাছ থেকে তারা টাকা আদায় করে। সরকারকে রাজস্ব কেন দেবে না? বৃহস্পতিবার ব্যান্ডউইথ বন্ধ করে সঙ্গে সঙ্গেই কোম্পানিগুলোকে জানানো হয়েছে।
সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গণমাধ্যমে বলেন, তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমেই ব্যান্ডউইথ বন্ধের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। সাবমেরিন কেবল কোম্পানি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হয়। বোর্ডই সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি বলেন, ব্যবসায় দেনা–পাওনা থাকে। পাওনা আদায়ে আরও ভালোভাবে নোটিশ দেয়া যেত। তা বদলে ব্যান্ডউইথ বন্ধের সিদ্ধান্তে জনগণই ভুক্তভোগী হয়। এমন সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভাবা প্রয়োজন।
এর আগে, আইআইজিদের কাছ থেকে পাওনা আদায়ে গত ১৩ জুলাই বিএসসিপিএলসি টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি দেয়। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ৯ আগস্ট বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) চিঠি দেয় মন্ত্রণালয়। গত ১৪ সেপ্টেম্বর আইআইজিএবি এসব বকেয়া পরিশোধের জন্য চিঠি দেয়।