বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি (তাতু মনি চাকমা) : গত রবিবার মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ছোড়া মর্টার শেল উড়ে এসে পড়ে বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া হয়েছে দুটি মর্টার শেল। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গোলা দুটি পড়ে মিয়ানমারের দিক থেকে গোলা দুটি বাংলাদেশ সীমান্তে পড়ে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমারের দিক থেকে মর্টার শেল পড়ার তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌস বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এঘটনায় কোনো প্রকার হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও এরূপ গোলাগুলির শব্দে এলাকায় চরম আতংক বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্র বলছে, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তুমব্রু সীমান্তের রেজু আমতলী বিজিবি বিওপির আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪০ ও ৪১ নম্বরের মাঝামাঝি স্থানে ওপারে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দুটি যুদ্ধবিমান এবং দুটি ফাইটিং হেলিকপ্টার টহল দেয়।
টহলের সময় মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে প্রায় ৮ থেকে ১০টি গোলা আর হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। এসময় ছোড়া দুটি গোলা ৪০ নম্বর সীমান্ত পিলার বরাবর আনুমানিক ১২০ মিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে পড়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ—বিজিবি সদর দপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্ণেল ফয়জুর রহমান বলেন, ‘আমরা তথ্যটা পেয়েছি। ঘটনার নিশ্চিত করার কার্যক্রম চলমান আছে। পাশাপাশি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’
এর আগে গত রবিবার মিয়ানমার থেকে ছোড়া দুটি মর্টার শেল বান্দরবান সীমান্তের ঘুমধুম এলাকার জনবসতিতে পড়ে। সেগুলো বিস্ফোরিত হয়নি এবং কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরে এ ঘটনায় গত সোমবার ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানায় ঢাকা।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ বিষয়ে বলেন, ‘মর্টার শেলগুলো হঠাৎ করে চলে এসেছে। তাদেরকে (মিয়ানমার) আমরা জিজ্ঞেস করেছি, তারা ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবে বলেছে।’