অনলাইন ডেস্ক : বহুল আলোচিত চাঞ্চল্যকর বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোশাররফ হোসেন (৩৪)‘কে দীর্ঘ ১০ বছর পর রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণ প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত দীর্ঘদিনের পলাতক দন্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
বিগত ৯ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের পাশে দর্জি দোকানের কর্মচারী বিশ্বজিৎ দাসকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে একদল উশৃংখল লোক। উক্ত ঘটনায় দায়ের কৃত হত্যা মামলায় (সূত্রাপুর থানার মামলা নং-০৮, তারিখ- ০৯/১২/২০১২ ইং, ধারা-১৪৩/৩০২/৩৪ পেনাল কোড) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ২১ জন আসামিকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে। বিচারিক কার্যক্রম শেষে গত ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ উক্ত মামলায় ২১ আসামির মধ্যে ৮ জনকে মৃত্যুদন্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান। ধৃত মোশাররফ আদালতে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হলেও সে পলাতক থাকে। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে মহামান্য হাইকোর্ট উক্ত মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামী মোশাররফ হোসেন@আব্দুল্লাহ (৩৪) এর যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় বহাল রাখেন। মহামান্য হাইকোর্টে রায় ঘোষণার সময়ও মোশাররফ পলাতক ছিল।
এরই ধারাবাহিকতায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ১৬ অক্টোবর ২০২২ তারিখ ১৮০০ ঘটিকায় রাজধানীর গুলশান থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যাকান্ডের যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত পলাতক আসামী মোশাররফ হোসেন@আব্দুল্লাহ(৩৪), পিতা- মাহতাব উদ্দিন, থানা-ভৈরব, জেলা-কিশোরগঞ্জ’কে দীর্ঘ ১০ বছর পর গ্রেফতার করে।