পটুয়াখালীর জেলা প্রতিনিধি (মিশুক চন্দ্র ভুঁইয়া) : পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা গভীর শ্রদ্ধা, যথাযথ মর্যাদা ও পূর্ণ ভাবগাম্ভীর্য সহকারে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে জাতি ভাষা শহীদদের স্মরণের মাধ্যমে ‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করেছে। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা আওয়ামীলীগ।
মঙ্গলবার(২১শে ফেব্রুয়ারী) রাত ১২টা এক মিনিটে গলাচিপা উপজেলা চত্বরে নব-নির্মিত শহীদ মিনারে গভীর শ্রদ্ধায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এসময় প্রথম প্রহরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, পটুয়াখালী – ৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা এমপি, উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, গলাচিপা ,উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পটুয়াখালী জেলা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ, মোঃ মনির হোশেন, গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ শ্রী ঃ শোনিত গাইন, নাভারণ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ ও পটুয়াখালী পৌরসভার।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে প্রথম প্রহরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, পক্ষ থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম, পটুয়াখালী জেলা সদর, উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি গলাচিপা সহ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে, সকল শহীদদের প্রতি বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। উল্লেখ্য, আজ মাতৃভাষা আন্দোলনের ৭১ বছর পূর্ণ হলো। একুশে ফেব্রুয়ারি শোকাবহ হলেও এর যে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় রয়েছে, তা পৃথিবীর বুকে অনন্য। কারণ বিশ্বে এ যাবতকালে একটি মাত্র জাতিই ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে। আর সে জাতি হলো বাঙালি। ১৯৫২ সালের এদিনে ‘বাংলা’কে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ প্রশাসনের জারিকৃত ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে রাজপথে মিছিল নিয়ে নেমে আসে। মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের এ দুর্বারগতি পাকিস্তানি শাসকদের শঙ্কিত করে তোলায় সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জব্বার, শফিক, রফিক ও বরকতগুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।
ভাষা শহীদদের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি সেদিন ‘মায়ের ভাষা’র মর্যাদা অর্জনের পাশাপাশি রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও পায় নব প্রেরণা। এরই পথ বেয়ে শুরু হয় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ।