জাতীয় ডেস্ক : পটুয়াখালীর পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতিটি ঘরে আলো জ্বালতে পেরেছি, এটিই সবচেয়ে বড় কথা। কোনো ঘর অন্ধকারে থাকবে না। প্রতিটা মানুষের জীবন আলোকিত করাই আমাদের লক্ষ্য।’
১৯৯৬ সালে ক্ষমতা গ্রহণের সময় বিদ্যুতের জন্য মানুষের হাহাকার ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। ওয়াদা করেছিলাম, প্রতিটি মানুষের ঘর আলোকিত হবে, আজ সেটা হয়েছে।’
সোমবার (২১ মার্চ) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর দুপুরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সবদিকেই আমরা ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি, যা জাতির পিতা করতে চেয়েছিলেন। গৃহহীন, ভূমিহীন মানুষদের জন্য তিনি গুচ্ছ গ্রাম করে প্রতিটি ভূমিহীন মানুষ যাতে ঘর পায় সেই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তারই পথ অনুসরণ করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে আজ ভূমিহীন মানুষকে আমরা ঘর তৈরি করে দিচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, ঠিকানাবিহীন থাকবে না, একটি মানুষও আর কষ্ট পাবে না। ইনশাআল্লাহ, সেটা আমরা করে ফেলব। এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিয়ে। তারা যাতে সুন্দর জীবন পায়, তাদের জীবন যেন সুন্দর হয়। ইতোমধ্যে আমরা পরিকল্পনা করে দিয়ে যাচ্ছি ২০৪১-এর বাংলাদেশ নিয়ে, সেই প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করেছি। পাশাপাশি ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যান আমরা করে দিয়েছি। নদীগুলোর ড্রেজিং করা, নৌপথ চালু করা, সেইসাথে সড়ক পথ, পুল-ব্রিজ ব্যাপকভাবে করে দিয়ে একটা যোগাযোগের ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের কাজ যাতে ত্বরান্বিত হয় সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। আমরা চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাক, জাতির পিতার স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করব, এটিই আমাদের লক্ষ্য।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না। যার যে জমি আছে, যে যা পারে, একটা কাঁচা মরিচ গাছও যদি লাগাতে পারেন, তাও লাগাবেন। সবাই কিছু না কিছু নিজেরা উৎপাদন করবেন। আর কৃষকের পাশে দাঁড়াবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সকল কাজ এক হয়ে করতে হবে, যাতে বাংলাদেশ আর পেছনে না পড়ে। জাতির পিতা স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। সেই সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলব। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা, এটাই আমাদের লক্ষ্য।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না। যার যে জমি আছে, যে যা পারে, একটা কাঁচা মরিচ গাছও যদি লাগাতে পারেন, তাও লাগাবেন। সবাই কিছু না কিছু নিজেরা উৎপাদন করবেন। আর কৃষকের পাশে দাঁড়াবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সকল কাজ এক হয়ে করতে হবে, যাতে বাংলাদেশ আর পেছনে না পড়ে। জাতির পিতা স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। সেই সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলব। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা, এটাই আমাদের লক্ষ্য।’
এর আগে বেলা ১০টা ৪৫ মিনিটে হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌঁছান শেখ হাসিনা। এ সময় তাকে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এরপর কোল জেটিতে ২০০ নৌকা থেকে পতাকা নাড়িয়ে তাকে অভিবাদন জানানো হয়।
হেলিকপ্টার থেকে নামার পর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বিদ্যুৎকেন্দ্রের নামফলক উন্মোচন করেন। বেলা ১১টা ৪৬ মিনিটে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। এরপর বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে উদ্বোধন করেন। এ সময় এক হাজার ৩২০টি পায়রা ওড়ানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী (বীর বিক্রম) বলেন, ‘বর্তমানে পাকিস্তানের ৭৩ ভাগ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় থাকলেও বাংলাদেশের ১০০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সেবা পাচ্ছেন। এ অর্জন প্রধানমন্ত্রীর অর্জন। তার নেতৃত্বেই এটি সম্ভব হয়েছে।’
সভাপতির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘সবার জন্য বিদ্যুৎ- এ ধারণা বঙ্গবন্ধুর। আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন ও দিক-নির্দেশনা ছাড়া এটি সম্ভব হতো না।’
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা শতভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে পেরেছি। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন। বর্তমানে বিদ্যুতের আওতার বাইরে দেশে কেউ নেই। এটা অনেক বড় সাফল্য।’