শরিয়তপুর জেলা প্রতিনিধি (রতন আলী মোড়ল) : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশ জুড়ে কড়া নাড়ছে শরিয়তপুর ১ আসনও তার ব্যতিক্রম নয়।
তাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শরীয়তপুর-১ আসনে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সব জায়গাতেই বইছে নির্বাচনি হাওয়া।
এ আসনে ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্তত নয় জনের নাম শোনা যাচ্ছে। পক্ষান্তরে বিএনপির কয়েক জনের প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে । স্বাধীনতার পর থেকে এ আসনে ৫ বার আওয়ামী লীগ, ১ বার বিএনপি, ২ বার জাতীয় পার্টি ও ১ বার স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে প্রহসনের (ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ) নির্বাচন এ আসনে স্থগিত ছিল। এ আসনে বিএনপির কয়েকজন প্রার্থী থাকলেও সাংগঠনিক অবস্থা তেমন মজবুত নয়।
জেলা সদর ও জাজিরা উপজেলা নিয়ে গঠিত শরীয়তপুর-১ আসনটি। শরীয়তপুর সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ১টি পৌরসভা এবং জাজিরা উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা রয়েছে এ আসনে। স্বাধীনতার পর থেকে বেশীরভাগ সময় আ’লীগের দখলেই ছিল এ আসনটি।
১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের আমিনুল ইসলাম দানেশ, ৭৯ সালে দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে সরদার একেএম নাসির উদ্দিন কালু, ৮৬ সালে তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির নাসির উদ্দিন কালু, ৮৮ সালে ৪র্থ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির নাসির উদ্দিন কালু, ৯১ সালে ৫ম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে কে.এম হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গজেব, ৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে স্থগিত থাকে, ৯৬ সালের ১২ জুন ৭ম সংসদ নির্বাচনে আ’লীগ সভাপতি মন্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক (আব্দুর রাজ্জাক দুটি আসন থেকে নির্বাচিত হওয়ায় এই আসনটি ছেড়ে দিলে একই বছর উপনির্বাচনে মাষ্টার মজিবুর রহমান), ২০০১ সালে ৮ম সংসদ নির্বাচনে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গজেব, ২০০৮ সালে ৯ম নির্বাচনে আ’লীগের বি.এম মোজাম্মেল হক এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আ’লীগের টিকিটে দ্বিতীয় বারের মত বি, এম মোজাম্মেল হক এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল হোসেন অপু নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
শরীয়তপুর-১ আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ-সম্পাদক ও ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক নুরজাহান আক্তার সবুজ।
আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, নুর জাহান আক্তার সবুজ একজন সৎ মানুষ, আমাদের বিপদে আপদে তিনি সব সময় পাশে থাকেন। দলকে সুসংগঠিত করতে তিনি অনেক পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বিগত দিনে দলের দুঃসময়ে তিনি আমাদেরকে আগলে রেখেছিলেন। আমরা এবার তাকে এমপি হিসেবে দেখতে চাই।
নুরজাহান আক্তার সবুজ বলেন, এ নির্বাচন ১৬ কোটি মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার নির্বাচন। আমরা এ নির্বাচনের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ৫ম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখব ইনশাআল্লাহ।
নুরজাহান আক্তার সবুজ আরো বলেন,আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন আর আমাকে যদি মনোনয়ন দেন তাহলে আমি নির্বাচিত হয়ে দুই উপজেলার সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাবো, ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা বাস্তবায়নে কাজ করে যাবো, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গৌড়তে সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করে যাবো ইনশাল্লাহ।