অনলাইন ডেস্ক : এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে ঈদগাহ ব্যবস্থাপনা কমিটি মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
গতকাল বুধবার দুপুরে ঈদগাহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম এবং পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) সাংবাদিকদের বলেন, ঈদ জামাতের সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঈদ-উল-ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে শোলাকিয়া ঈদগাহ। ঈদের জামাতে অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হবে। পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি ৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনসহ চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। তাছাড়াও মাঠে ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন এবং সিসি ক্যামেরা দ্বারা পুরো মাঠ মনিটরিং করা হবে। এ কাজে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ৬টি এ্যাম্বুলেন্স এবং ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিয়ন সার্বক্ষণিক মোতায়েন থাকবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, কোনোভাবেই মোবাইল ফোন ও ছাতা নিয়ে মাঠে প্রবেশ করা যাবে না। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও ভাবগাম্ভির্য্যরে মধ্য দিয়ে ১৯৫তম ঈদের জামাতটি অনুষ্ঠিত করতে পারব। এ ঈদ জামাতে ইমামতি করবেন মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ এবং বিকল্প ইমাম হিসেবে থাকবে মাওলানা সোয়াইব বিন আঃ রউফ। পরিশেষে আমি দেশবাসীকে অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ঈদ মোবারক।
পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) বলেন, ঈদ জামাতের সকল প্রস্তুতির কার্যক্রম আমরা সরজমিনে পরিদর্শন করলাম। এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে কিশোরগঞ্জ শহর। গত ২ বছর ঈদের জামাত না হওয়ার কারণে এ বছর বেশি মানুষ জমায়েত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বছর বাড়তি নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। ৬টি ওয়াচ টাওয়ার থাকবে এর মধ্যে ৪টি পুলিশের ও ২টি র্যাবের। সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা ও ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হবে। নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে ঈদগাহ মাঠে প্রবেশ করতে হবে। বম ডিসপোসাল টিম, পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম, মাইন ডিটেক্টর ইউনিটসহ পুলিশের অন্যান্য টিম কাজ করে যাবে।
মুসুল্লীদের দেহ তল্লাশীর পাশাপাশি একমাত্র জায়নামাজ ও মাস্ক ছাড়া আর কোন কিছু নিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। তবে বৃষ্টি হলে ছাতা নিয়ে আসার বিষয়টি বিবেচনাধীন থাকবে। এদিকে শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে অংশগ্রহনের সুবিধার্থে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব ও ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ লাইনে ‘শোলাকিয়া এক্সপ্রেস’ নামে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। শোলাকিয়া এক্সপ্রেস- ১ ভৈরব থেকে ছাড়বে সকাল ৬টায় কিশোরগঞ্জ পৌঁছবে সকাল ৮টায়, আবার কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাবে দুপুর ১২টায় ভৈরব পৌঁছবে দুপুর ২টায়। শোলাকিয়া এক্সপ্রেস- ২ ময়মনসিংহ থেকে ছাড়বে সকাল পৌনে ৬টায় কিশোরগঞ্জ পৌঁছবে সকাল সাড়ে ৮টায়, আবার কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাবে দুপুর ১২টায় এবং ময়মনসিংহে পৌঁছবে বেলা ৩টায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, পৌর মেয়র মোঃ পারভেজ মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বান চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ঈদগাহ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, র্যাব- ১৪ (সিপিসি- ২), কিশোরগঞ্জের ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোঃ শাহরিয়ার মাহমুদ খান, কিশোরগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ দাউদ প্রমুখ।