নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি : নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার কোলা ইউনিয়নে কেশাইল (হঠাৎ পাড়া) গ্রামে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় চলছে।আত্মহত্যা নাকি এটি হত্যা এ নিয়ে জনমনে চলছে নানা গুঞ্জন।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়,বদলগাছী উপজেলা ৫নং কোলা ইউনিয়নের কেশাইল (হঠাৎ পাড়া)গ্রামের গৃহবধূ জেসমিন আক্তার সুমি (২৫)।সে গতকাল ১৮ সেপ্টেম্বর, সোমবার দিবাগত রাতে (ভোরে)মারা যায়।সুস্থ্য স্বাভাবিক একটা মেয়ে হঠাৎ কীভাবে মারা যায় এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চলছে নানা গুঞ্জন।
মৃত সুমির কোলা ইউপির কেশাইল গ্রামের গ্রাম পুলিশ সিরাজুল ইসলামের ছেলে সোহেল রানা স্ত্রী। সোহেল রানা বদলগাছী উপজেলার কার্য সহকারী প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে আউটসোর্সিং এ কর্মরত আছেন।স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকে তাকে কেউ দেখতে পান নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু গ্রামবাসী জানান, সোহেল ও সুমির মধ্যে প্রায় ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো আজ ভোরে আমরা শুনতে পাই সুমি মৃত্যুবরণ করেছে।
এ বিষয়ে মৃত সুমির মায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,সাত বছর আগে সুমি ও সোহেলের বিয়ে হয়।তাদের একটি শিশু কন্যা আছে। নাম সামিহা আক্তার(৩)। তবুও সোহেল অন্য মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক করতো। আমার মেয়ে জানতে পারায় সোহেল তাকে হত্যা করে পালিয়েছে। আমরা তার বিচার চায়।
এ বিষয়ে মৃত সুমির শাশুড়ীর (সোহেলের মা)কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার পুত্রবধূ চাকরি করতে চাইতো কিন্তু আমার ছেলে চাকরি করতে দিবেনা, এ নিয়ে তাদের মধ্যে গতকাল ঝগড়া বিবাদ হয়েছে। এরপর কী হয়েছে আমরা জানিনা।
এ বিষয়ে মৃত সুমির কন্যা শিশু সামিহার কাছে জানতে চাইলে শিশু সামিহা জানায়, কালকে রাতে আব্বু আম্মু ঝগড়া করেছিল।পরে আব্বু আম্মুকে হাত দিয়ে মারে আর আম্মুর অসুখ হয়।
এ বিষয়ে বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাঃ আতিয়ার রহমান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং উক্ত বিষয়ে বদলগাছী থানায় একটি আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা দায়ের করা হয়েছে।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।