মানবচিত্র ডেস্ক : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, দেশের বিভিন্ন এলাকার বানবাসি মানুষদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় সরকার পাশে থাকবে। ইতোমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আমাদের কাছে চলে এসেছে। আমরা মন্ত্রণালয় থেকে এটি কম্পাইল করছি। কোন জায়গায় কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটি শিগগির জানাতে পারব। আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে ক্ষয়ক্ষতি পূরণে একটি তড়িৎ উদ্যোগ নেব। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্য, চাল, টিন, গৃহনির্মাণ সামগ্রী রয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা জানান। এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আতিকুল হকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বানভাসি মানুষ যাতে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন সেজন্য পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। নগদ অর্থ সহায়তাও দেওয়া হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে নগদ ২ কোটি টাকা, এক হাজার টন চাল দিয়েছি, চার হাজার বান্ডেল টিন, গৃহনির্মাণ মজুরির জন্য এক কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দব দেওয়া হয়েছে।
এনামুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে, অতিরিক্ত কিছু লাগলে সেটি চাইলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে বরাদ্দ দেন। সিলেট-সুনামগঞ্জে যখন বন্যা চলছিল আমাদের জিআর নগদ টাকা শেষ হয়ে গিয়েছিল, আমরা ১০ কোটি টাকা চেয়েছিলাম তিনি পরদিন ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ৫ হাজার ৫০০ জনকে ১০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছেন। ১০ কোটি টাকা দিয়েছেন সিলেট ও সুনামগঞ্জে।
বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাইলে এনামুর রহমান বলেন, আমাদের কাছে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্টগুলো এসেছে। এগুলো কম্পাইল না করে সঠিক তথ্য দেওয়া যাবে না। ত্রাণ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ আছে, নগদ অর্থ আছে, কাপড়, টিনসহ সবকিছুই আছে। যে পরিমাণ প্রয়োজন হবে সে পরিমাণ ত্রাণ দেওয়ার সক্ষমতা আছে।