জাতীয় ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘স্বাধীনতা ও স্বেচ্ছাচারিতাকে এক করে দেখলে চলবে না। সর্বক্ষেত্রে যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে যোগ্য নেতৃত্বের বিকল্প নেই।’
বৃহস্পতিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভপতিত্বে বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শিরোনামে আজ ও আগামীকাল (১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
মহান বিজয়ের এ দিনে দেশের সর্বস্তরের নাগরিকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘স্বাধীনতা আমাদের দেশের সর্ববৃহৎ অর্জন। এ অর্জন খুব সহজে আসেনি। দীর্ঘ নয় মাসের লড়াইয়ের মাধ্যমে এ বিজয় আসে। এ বিজয়ের পেছন থেকে অবস্মরণীয় দায়িত্ব পালন করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু সামগ্রিক অর্থে বিশ্বে একজন মহান নেতা।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর ৫০ বছর একটি দেশ ও জাতির জন্য কম সময় নয়। আমরা যে স্বপ্ন নিয়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন করেছিলাম, এ সময়ে কতটুকু অগ্রসর হতে পেরেছি, তার হিসাব মেলানোর সময় এসেছে। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব ও কর্তৃব্য আমাদের সবার। স্বাধীনতা মানুষের অধিকার। আবার অধিকারের অপপ্রয়োগ স্বাধীনতাকে খর্ব করে। স্বাধীনতা ও স্বেচ্ছাচারিতাকে এক করে দেখলে চলবে না।’
দেশকে এগিয়ে নিতে সর্বক্ষেত্রে যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমাদের মাথা উঁচু করে চলতে হবে। স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সবাইকে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রতিটি কাজে দায়িত্বশীলতা পরিচয় দিতে হবে। সবক্ষেত্রে নীতি-নৈতিকতাসম্পন্ন আদর্শ ও যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে।’
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার বিষয়ে ভারতসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমরা আশা করছি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে ভারতসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। উন্নয়নের এ গতি অব্যাহত রাখতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।’