1. manobchitra@gmail.com : news :
  2. manobchitra24@gmail.com : News Bd : News Bd
September 7, 2024, 11:22 pm
শিরোনাম
গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তর করতে রবিবারের মধ্যে কমিটি গঠনের ঘোষণা সীমান্তে পিঠ প্রদর্শন করবেন না, বিজিবিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাতক্ষীরায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি দেখানোসহ বিভ্রান্ত করার অভিযোগ ভারতীয় সেনাবাহিনীকে বাংলাদেশ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন রাজনাথ সিং রাজধানীর মিরপুরে যুবদলের পরিচয়ে দোকান দখলে গিয়ে শ্রমিক লীগ সদস্য আটক যশোরের কেশবপুরে শহীদ তৌহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত নওগাঁর বদলগাছীতে ইউএনও মাহবুব হাসানের নেতৃত্বে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি পালন হুয়াওয়ের ফ্ল্যাগশিপ প্রতিযোগিতা ‘উইমেন ইন টেক’ এর ৩ বিজয়ী রওনা দিয়েছে চীনের উদ্দেশ্যে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন শীর্ষ সন্ত্রাসী সুইডেন আসলাম সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সিসিডিবি প্রকল্পে নারী সদস্যদের বিকল্প জীবিকায়ন দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ে প্রশিক্ষণ

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলনের কারণে ঘর- বাড়িতে ফাটল, ক্ষতিগ্রস্তদের মানববন্ধন

  • আপডেট সময় Sunday, October 15, 2023

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি : দিনাজপুরের পার্বতীপুরের হামিদপুর ইউপি’র পাতরাপাড়া মোড়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কয়লা উত্তোলনের কারণে পাতরাপাড়া গ্রামের বৈদ্যনাথপুর, শিবকৃষ্ণপুর, মথুরাপুর ও বাঁশপুকুর মৌজার ৫টি গ্রামের বসতবাড়ী কম্পনে ফেটে যাওয়ায় ভূমি ও বসতবাড়ী রক্ষা কমিটির বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

১৫ই অক্টোবর(রবিবার) সকাল ১১টায় উপজেলার হামিদপুর ইউপি’র পাতরাপাড়া মোড়ে বসতবাড়ি রক্ষা কমিটির সভাপতি নুর মোহাম্মাদ আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শেষে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বৈদ্যনাথপুর,৫টি গ্রামের প্রায় ৫ হাজার পরিবারের নারীপুরুষ বিক্ষোভ মিছিল ও মানবন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

বিক্ষোভ শেষে বেলা ১২টায় পাতরাপাড়া মোড়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বসতবাড়ি রক্ষা কমিটির সভাপতি নুর মোহাম্মাদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, খনি হওয়ার কারণে এলাকার মানুষ মনে করেছিল আমাদের পরিবর্তন হবে কিন্তু খনি হওয়ার কারণে এখন আমাদের সব সময় আতংকে থাকতে হচ্ছে। শত-শত বসতবাড়ী কম্পনের কারণে ফেটে যাচ্ছে। বাড়ীর টিউবয়েলগুলিতে কোন পানি উঠছে না। পাতরা পাড়া গ্রাম থেকে ফুলবাড়ী পর্যন্ত রাস্তাটির বেহাল অবস্থা। কৃত্রিম ভূমিকম্পনের কারণে ঘরে পরিবার পরিজন নিয়ে থাকা দায় হয়েছে। সব পরিবারের আতংকে কাটে সময়। ক্ষনি কর্তৃপক্ষকে বার- বার এই এলাকার সমস্যা নিয়ে কথা বললেও তারা আমাদের কোন কথা কর্ণপাত করেন ন। বাড়ী-ঘরের ফাটল সংস্কার, রাস্তার সমস্য, পানির সমস্যা ও শিক্ষিতদেরকে কর্মসংস্থান দিতে হবে। আমাদের এই দাবি বাস্তবায়নের মধ্যে রয়েছে বাড়ি ঘরগুলি কয়লা তোলার কারণে ফেটে যাচ্ছে। আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছে তা দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। চলাচলের জন্য প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে, তা দ্রুত পুন:নির্মাণ করতে হবে। সামাজিক প্রতিষ্ঠান গুলিতে সামাজিক ফান্ড দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসীর সাথে সমঝোতা চুক্তি মোতাবেক বেকারদের চাকুরী ও ভূমি অধিগ্রহণ করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।খনি কর্তৃপক্ষ সমঝোতা চুক্তি ভঙ্গ করে বহিরাগতদেরকে চাকুরী দেয়া বন্ধ করতে হবে, পূর্বের অধিগ্রহণকৃত মসজিদ, কবরস্থান গুলোর বিষয়ে জায়গা অধিগ্রহণ করে মসজিদ ও কবরস্থানের জায়গা নির্ধারণ করে দিতে হবে। পাতরাপাড়া, বৈদ্যনাথপুর, শিবকৃষ্ণপুর, মথুরাপুর ও বাঁশপুকুর গ্রামে বসবাসরত ৫হাজার পরিবারের মাঝে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের দাবি বাস্তবায়নে খনি কর্তৃপক্ষ ও পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সংসদ সদস্যকে অবগত করলেও আজ পর্যন্ত কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছেনা। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে আর কতদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই গ্রামগুলিতে বসবাস করব? এই এলাকার ভূ-গর্ভ থেকে কয়লা তোলার কারণে প্রতিনিয়ত দেবে যাচ্ছে।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কর্মকর্তা কর্মচারীরা লাভবান হলেও এলাকার গ্রামগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আমরা অতিদ্রæত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি আমরা আর কতদিন এই সংকটে ভুগব? আমরা এখান থেকে অসুস্থ রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যাব, রাস্তার বেহাল অবস্থা থাকায় অ্যাম্বুলেন্স্ও এই গ্রামগুলিতে আসতে চায় না। তাহলে আপনারা বোঝেন আমরা কিভাবে জীবনযাপন করছি?
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মামুনুর রশিদ, সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান, অর্থ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান, প্রচার সম্পাদক মইনুদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কাদের, মোঃ আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোনতাছির সাগর মোঃ রিয়াজুল ইসলাম বাপ্পী ও আব্দুস সালাম সহ এলাকার আরও অনেকে জানান, নলকুপে পানি উঠছে না, এ এলাকায় তাপমাত্রা বেড়ে গেছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে, স্কুল কলেজ মাদ্রাসাগুলিতে যাওয়ার রাস্তা থাকলেও বর্ষাকালে চলাচল করা সম্ভব হয়না। সমস্ত রাস্তা খনির কারণে মাটির নিচে তলিয়ে গেছে। নেই কোন মসজিদ, নামাজ পড়ার ঈদগাহ মাঠ এবং ফুটবল খেলার মাঠসহ সব ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা এর প্রতিকার চাই ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

এই বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পাতারাপাড়া গ্রামসহ বাঁকী ৫টি গ্রামের ৫ হাজার নারী-পুরুষ,স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী,স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।

পরিশেষে সভাপতি বলেন, আমাদের আজকের এই সমাবেশে দাবী মেনে না নিলে আগামীতে কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2021 ManobChitra
Theme Customized By BreakingNews