দিনাজপুর ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি (মোঃ রাসেল রানা) : আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের যুগেও তন্ত্র মন্ত্রের দোহাই দিয়ে চলছে চিকিৎসার নামে ব্যাপক প্রতারণা।
এ সকল প্রতারণার শিকার হচ্ছে গাঁও গ্রামের সাধারন মানুষ। এমন এক ভন্ড ঠাকুরের সন্ধান পাওয়া যায়। যে নিজেকে ভগবান ও মা বলে দাবি করেন।
অভিযোগ ওঠে, দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ১২-নং রাজারামপুর ইউনিয়নের ১-নং ওয়ার্ডের চনকালী এলাকার বাসিন্দা শ্রী অমূল্য চন্দ্র রায় নিজ বাড়িতে একটি কালী মন্দির রয়েছে। হিন্দু ধর্মীয় পবিত্র এই কালী মন্দিরের স্থানকে কাজে লাগিয়ে শত রোগীর তন্ত্র মন্ত্র,ঝাড় ফুক সহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন যাবত।
অত্র ইউনিয়ন সহ বাইরে থেকে আসা সহজ-সরল ও গরিব মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে অনেক মানুষকে নিঃস্ব করিয়াছে।
ভুক্তভোগীদের বক্তব্য থেকে জানা যায়, এই অমূল্য চন্দ্র রায়এরা পাঁচ ভাই।রোমানাথ,অমূল্য, বিমল, পুণ্য, শ্যামল সহ একই ইউনিয়নের ছোট রতন, বঙ্ক চন্দ্র রায়,ছোট বিমল, রাজকুমার, শুটক, বড় শুটকু, গৌতম চন্দ্র রায়, জালা বাবুসহ স্থানীয় আরো অজ্ঞাতনামা প্রায় ১০-থেকে ১২- জন মহিলা ও পুরুষ। প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায় এই গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গগন অনেক বড় মাপের লোক তাদের ছত্রছায়ায় প্রায় পাঁচ বছর যাবত এই এলাকায় এই প্রতারণার ব্যবসা খুলে বসেছে। এক প্রতারিত রোগীর কাছ থেকে জানা যায় তার বউয়ের দীর্ঘদিন যাবত বাচ্চা হয় না।তার চিকিৎসা নেওয়ার বয়স প্রায় ১০-মাস। তার বউয়ের পেট ফুলে আছে যা দেখলে মনে হবে একজন প্রেগন্যান্ট মহিলা তারপর তারপর রোগী তার বউকে নিয়ে এক ডাক্তারের কাছে যায় যাওয়ার পরে ডাক্তার কিছু পরীক্ষা করতে দেয় পরীক্ষা করে রিপোর্টটি ডাক্তারকে দেখালে ডাক্তার বলেনবউয়ের পেটে কোন বাচ্চা নেই পানি ও চর্বি জমে আছে।
রোগীরা এও বলেন যে মন্দিরের পার্শ্ববর্তী সেগুনবাড়ী বাজার ডা:নাজমুলের দোকানে যে কাগজটি ধরিয়ে দিলাম তার দোকান হতে এই জিনিসগুলো কিনে আনবি আগামী সপ্তাহে। ওই দোকান হতে না কিনলে তোদের কাজ হবে না।ডাক্তার নাজমুলের ওষুধ-পত্রসহ আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র মায়ের বড় দানের ফল।আরেক রোগীর কাজ হতে জানা যায়, আমি চিকিৎসা নিতে আসলে তোর কয় জোড়া বাচ্চা দরকার উত্তরের রোগী বলেন, আমার একটি হলে চলবেই মা অর্থাৎ অমূল্য চন্দ্র রায় কে। সে নিজেকে ভগবান ও মা কালী আরেক রূপ বলে নিজেকে দাবি করেন।রুগীরা এও বলেন যে, আমাদেরকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি প্রদান করে। রোগীরা বলেন আমার কাছে যতদিন চিকিৎসা করবি ততদিন কোন ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে পারবি না হলে তোর পেটে বাচ্চা কনসেপ্ট করলে তোর বাচ্চা পেটেই নষ্ট হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে তারা দীর্ঘদিন থেকে ওই মন্দিরে অনশন করে আসছে তার শাস্তি ও টাকা পাওয়ার দাবিতে। এই মর্মে ভুক্তভোগীরা বিরল থানা অফিসার ইনচার্জ ও বিরল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর অভিযোগ করেন।।