মানবচিত্র ডেস্ক : সফটওয়্যারের পর বাংলাদেশের হার্ডওয়্যার এবং সম্ভাবনাময় স্টার্টআপ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহের কথা জানিয়েছে দেশটির আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশে স্টার্টআপ, তথ্যপ্রযুক্তি গবেষণা, উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপান বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রোববার ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ইয়াসুতোশি নিশিমুরার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে তিনি একথা জানান।
বৈঠকে জাপানের মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আইসিটি খাতের রপ্তানি এখন বার্ষিক ১২ কোটি ডলারের মধ্যে রয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে তা বিলিয়ন ডলারে উন্নতি করা সম্ভব।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার আগামী তিন বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক লাখ শিক্ষার্থীকে এআই, বিগ ডাটা, আইওটি, ক্লাউড কম্পিউটিং, সেমিকন্ডাক্টরসহ নানা উদীয়মান প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ দেবে। এ প্রশিক্ষিত জনশক্তি জাপানের বাজারের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে। এ ধরনের দক্ষ জনশক্তি জাপানে পাঠাতে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে।
“বৈঠকে মোট সাতটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সফটওয়্যারের পর বাংলাদেশের হার্ডওয়্যার খাতে এবং সম্ভাবনাময় স্টার্টআপ খাতে বিনিয়োগে জাপানের আগ্রহ জানিয়েছে। দেশটি জনঘাটতি মেটাতে বাংলাদেশের ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের এআই, রোবটিকস মাইক্রোচিপ ডিজাইন ও সাইবার সুরক্ষায় প্রশিক্ষণ দিয়ে তা পূরণ করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।”
হাইটেক পার্কে বাংলাদেশ-জাপান আইটি ইনস্টিটিউট ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এসব বিষয় চূড়ান্ত করতে আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে একটি প্রতিনিধিদলকে জাপান সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান প্রতিমন্ত্রী।
বৈঠকে বাংলাদেশি আইটি, আইটিইএস, হার্ডওয়্যার কোম্পানি ও স্টার্টআপদের জন্য একটি আইটি সামিট আয়োজনের বিষয়েও একমত হয় দুই দেশ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সনির পর হিটাচি, তোশিবা, টয়োটা, নিশান ও কাওয়াসাকি বাংলাদেশে তাদের গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র খুলবে।
এসময় বাংলাদেশ হাই টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউল করিম, আইসিটি বিভাগের ইডিইজি প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজার আব্দুল বারী তুষার, জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের ওভারসিজ এনার্জি ইনফ্রাস্ট্রাকচার অফিসের পরিচালক উমেদা হিদেয়ুকি, ট্রেড পলিসি ব্যুরোর মহাপরিচালক মেতসুউ টেকেহিকো, বাণিজ্য নীতি ব্যুরোর দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া অফিসের পরিচালক মুরায়ামা কাতসুহিকো, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি ও প্রথম সচিব হারুতা হিরোকি উপস্থিত ছিলেন।