নিজস্ব প্রতিনিধি : ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের মহব্বতপুর চাঁদ মসজিদ সংলগ্ন চিহ্নিত দেহ ও মাদক ব্যাবসায়ী শেখ হাসেমের মেয়ে সেলিনা আক্তার ওরফে শিলা তার নিজের এই অবৈধ বেআইনি ব্যবসা পরিচালনা করায় তাঁরই একমাত্র ভাই মুরাদ কে দিয়ে।
এলাকাবাসীর অভিযোগে খবর নিয়ে জানা যায়, এরা দুই ভাই বোন মিলে দীর্ঘদিন যাবত এলাকার যুব সমাজকে ধংশের দিকে নিয়ে যাচ্ছে এই মাদক ও দেহ ব্যবসার মাধ্যমে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার বেশ কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, শিলা আমাদের এলাকায় বাড়ি করার পর থেকেই প্রতি নিয়ত দিন শেষে সন্ধ্যা হতে না হতেই গভির রাত পর্যন্ত ভিবিন্ন এলাকার যুবক ও যুবতিদের ঐ বাড়িতে আসা যাওয়া করতে দেখা যায়, যাদের মধ্যে চিহ্নিত অসংখ্য মাদকসেবিদের দেখা যায়।
গোপনে ধারণকৃত ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায় চিহ্নিত দেহ ও মাদক ব্যবসায়ী এই সেলিনা আক্তার শিলা নিজ ঘরে খাটের উপরে বসে মাদক সেবন করছে।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, এই শিলাকে সন্ধ্যার পরে রাতের আধাঁরে এলাকার বিভিন্ন ছোটখাটো জঙ্গলে ও ফসলি জমিতে বিভিন্ন লোকজনের সাথে যেতে দেখা যায়।
এলাকাবাসীর প্রশ্ন এই সমস্ত নির্জন জায়গাতে রাতের আঁধারে ওই সব লোকজনদের সঙ্গে কি এমন কাজ করে শিলা।
এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীরা একত্রিত হয়ে নবাবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি গনসাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানান এলাকাবাসী।
এ বিষয় নিয়ে শিলার সাথে এলাকার বেশ কয়েকজন সন্মানীয় মুরুব্বি ব্যাক্তিরা কথা বলতে চাইলে, সে ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণাত্মকভাবে এলাকাবাসীদের বলে, “উপর মহলে আমার প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, আর আমি এই বিষয়ে কাউকে কৈফিয়ত দিতে রাজি না, আপনারা যদি আমার এইসব বিষয় নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করেন, তাহলে আমি কিন্তু উপর মহলের তাদেরকে দিয়েই আপনাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিব।”
এছাড়াও চিহ্নিত এই দেহ ও মাদক ব্যবসায়ী শিলা আরো বলে, “এর পরেও যদি আপনারা আমার কোন কাজে নাক গলাতে আসেন, তাহলে আমি আপনাদের ছেড়ে দিব না, আপনাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন সহ আমাকে ও আমার মেয়েকে মানহানি করার মামলা দিবো।”
গোপন সূত্রে জানা যায়, শিলা ও তার ভাই মুরাদ দুইজনই সু শিক্ষিত, তারা ইচ্ছা করলে ভালো চাকরী করতে পারে বা অন্য কোনো যে কোনো কাজ করে খুব ভালো ভাবেই তাদের জীবন যাপন করতে পারে, কিন্ত সে দিকে তারা না গিয়ে নিজ বাড়িতেই তাদের পারিবারিক এই দেহ ও মাদক ব্যবসা করে এলাকার যুব সমাজকে অকালে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায, তাদের এই পারিবারিক ব্যবসা
বর্তমানে ভালোই চলছে। বর্তমানে শিলা ও তার ভাই তাঁদের এই ব্যবসা এলাকায় জমজমাট ভাবে করে যাচ্ছে। শিলার পরিবার কোনো এক অদৃশ্য শক্তি বলে এলাকাবাসী কারো তোয়াক্কা না করে নির্ভয়ে দাপটের সাথে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের এই মাদক ও দেহ ব্যবসা।
এরা দুই ভাই বোন সরাসরি এই অবৈধ বেআইনি ব্যবসা পরিচালনা করলেও এদের নির্ধারিত কিছু দালালও আছে যারা শিলা ও মুরাদের সহযোগী হিসেবে কমিশনের ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে দেহ ব্যবসায়ের জন্য খরিদ্দার ও মাদক ক্রেতা এনে দেয়।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হলে, বিগত কয়েকদিন যাবত মুরাদ লোক দেখানো দিন মজুরীর কাজ করছে।