টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি (গৌরাঙ্গ বিশ্বাস) : টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে অরক্ষিত রেলক্রসিং ও গেটম্যানের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ৮ ই অক্টোবর সকাল দশটার দিকে কালিহাতী উপজেলার সল্লা ইউনিয়নের হাতিয়া সংযোগ সড়কে, হাতিয়া রেলক্রসিং এলাকায় পাচ গ্রামবাসী এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটি গামী, নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন লাল কাপড় নেড়ে ২০ মিনিট আটকে রাখে মানববন্ধন কারি জনতা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সল্লা ইউনিয়ন এর ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক। ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য জহিরুল ইসলাম ৯ নং ওয়ার্ডের মোঃ হুমায়ুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফটিক মন্ডল, ও নরদহি গ্রামের আব্দুল হালিম প্রমূখ।
বক্তারা বলেন আমাদের এই হাতিয়া ধুনাইল সংযোগ সড়কটি আগে কাঁচা ছিল, এখন পাকা হয়েছে। পাকা হওয়ার সুবাদে প্রতিদিন এখান দিয়ে হাজার হাজার লোক যাতায়াত করে। এই রাস্তাটি হাতিয়া হয়ে সয়া বাজার, পালিমা বাজার হয়ে সওদাগর মোর হয়ে ধুনাইল এসে ঢাকা টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ সড়কে মিলিত হয়েছে। যাহা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, মাঝেমধ্যেই এই অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে মোটরসাইকেল আরোহী স্কুল কলেজের ছাত্র দুর্ঘটনায় শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এই হাতিয়া রাস্তায় একটি বাকা মোর থাকার কারণে, এই রাস্তায় ট্রেন আসা-যাওয়া লক্ষ্য করা যায় না,এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড় রেল স্টেশন পর্যন্ত, যে কয়টি রেলক্রসিং রয়েছে, তার মধ্যে এই হাতিয়া রেলক্রসিংয়ের গেটম্যান না থাকায়,সর্বোচ্চ ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ঘটনা ঘটেছে।অকালে ঝরে যাচ্ছে অনেক নতুন নতুন জীবন, একটা রেলগেট জীবনের রক্ষাকবচ। রেললাইন নির্মাণের পর থেকে হাতিয়া এই অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে, শিশুসহ অন্তত দেড় শতাধিক লোক নিহত হয়েছে। তারপরেও কর্তৃপক্ষ রেলগেটে গ্রেট ম্যান নিয়োগ দেয়া হয়নি। এই অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে আর কোন প্রাণ যেন না হারায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রেল সচিব এর নিকট দ্রুত সময়ের মধ্যে এই হাতিয়া রেল ক্রসিংয়ে রেলগেট স্থাপনের জোর দাবি জানাচ্ছি।
এই সময়ে রেল রেলগেট স্থাপন না হলে, মহাসড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।