ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি : ঝালকাঠির রাজাপুরের গালুয়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে রোববার গভীর রাত আড়াইটার দিকে বাড়ির গেট ও ঘরের দরজা ভেঙে ব্যবসায়ী মোঃ তারিকুল ইসলাম তুহিন ও সূতার কারখানার মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তুহিন ও মামুন ওই এলাকার মৃত নূরে আলম খানের ছেলে। তারা একই বাড়িতে বসবাস করছেন। দেশীয় অস্ত্র-মুখোশধারী ডাকাত দল দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ঘরে থাকা ৫ জনের সবাইকে অস্ত্রেরমুখে জিম্মি করে এবং মারধর করে হাত পা বেঁধে প্রায় পাঁচ ভরি স্বর্ণ অলংকার এবং নগদ ৪০ হাজার টাকা, দলিলসহ কাগজপত্র ও মালামাল লুটে নিয়ে যায়।
এসময় বাড়ির ব্যবসায়ী তারিকুল ইসলাম তুহিন ও তার ছোট ভাই এ বছর এসএসসি পাশ করা আরিফকে (১৭) কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে ডাকাত দলের সদস্যরা। ওই এলাকার মৃত নূরে আলম খানের ছেলে ডাকাতিরে ঘটনায় আহত হয়ে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ব্যবসায়ী মোঃ তারিকুল ইসলাম তুহিন জানান, রাত আড়াইটার দিকে বাড়ির গেটের তালা ভেঙে ও ঘরের দরজা ভেঙে ১০/১২ জনের একটি অস্ত্রধারী ও মুখোশদারী ডাকাতদলের বেশ কয়েকজন ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে ও গুলি করার ভয় দেখিয়ে মারধর শুরু করে হাত পা বেধে মুখে কাপড় আটক দেয় বাধা দিতে গেলে তারিকুলের মাথায় রামদা দিয়ে কোপ দেয়। কোপে তার কানের লতি কেটে যায়। পরে সবাইকে জিম্মি করে ঘরে থাকা ৪০ হাজার টাকা, প্রায় ৫ ভরি সোনার গহনা ও দলিলসহ মালপত্র লুটে নেয় এবং এ ঘটনা নিয়ে বারাবারি করলে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। ঘরের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাব্যাপি তান্ডব চালায় ডাকাতদল। এ ঘটনার পর জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই পরিবার।
রাজাপুর থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় জানান, এ দস্যুতার ঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনাশুনে রাতেই ওই এলাকায় টহলে থাকা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিলো। দস্যুতায় ব্যবহার করা একটি সাবল উদ্ধার করা হয়। পাকা সড়কে পুলিশ টহলে থাকলেও বর্ষায় কাদামাটির রাস্তা দিয়ে পায়ে হেটে দলটি ওই বাড়িতে প্রবেশ করে বলেও জানান ওসি।