অনলাইন ডেস্ক : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের একাংশের দিনব্যাপী অবরোধের কারণে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বর্জন করা হয়েছে বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস পরীক্ষা। শহর থেকে ছেড়ে যায়নি কোন শাটল ট্রেন। ক্যাম্পাস থেকে শহরের উদ্দেশে যায়নি ছেড়ে কোন শিক্ষক বাসও। পুরো ক্যাম্পাসে যান চলাচল বন্ধ আছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে চবি ছাত্রলীগের ভিএক্স গ্রুপের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দু্র্জয় ও মোহাম্মদ রাশেদ এক নম্বর গেট থেকে মোটরসাইকেলযোগে ক্যাম্পাসে আসছিলেন। এ সময় স্থানীয় মাজার গেট এলাকায় যুবলীগ নেতা হানিফের অনুসারী ৭/৮ জন কর্মী দেশীয় অস্ত্রসহ মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাদের মারধর করেন। ভাঙচুর করা হয় মোটরসাইকেলটিও। পরে এ ঘটনার প্রতিবাদে জিরো পয়েন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে ক্যাম্পাস অবরুদ্ধ করে রাখে ভিএক্স গ্রুপের অনুসারীরা।
ক্যাম্পাসের প্রধান সড়কগুলোতে গাছের গুড়ি ফেলে চলছে তাদের অবরোধ। এ ছাড়াও ক্যাম্পাসের আশপাশের বিভিন্ন অলিগলিতে গাছের ডাল ফেলে আটকে দিয়েছে সড়ক।
এ ব্যাপারে প্রক্টর বলছেন, তারা ঘটনাস্থলে না থাকলেও পুলিশ ছিল। বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে।
শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভিএক্সের কর্মী মো. ইমরান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে হানিফ ও তার অনুসারীরা তাদের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় ও মো. রাশেদের উপর হামলা চালিয়েছে। তাদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।
এদিকে ইতিহাস বিভাগের একজন সাধারণ শিক্ষার্থী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সকালে ক্যাম্পাসে এসে দেখছি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অবরোধ করছে। ক্লাস বাতিল করা হয়েছে। আজ আমাদের টিউটোরিয়াল পরীক্ষা ছিল সেটাও আজ বাতিল হলো। এ রকম চলতে থাকলে তো আমরা সেশনজটে পড়ব।