গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি (মোহসিন আজাদ পাপন) : গ্যাস সংকট তীব্র গাজীপুরের শিল্প কারখানা ও বাসা বাড়িতে। গাজীপুরে তৈরি পোশাক, সিরামিক ও টেক্সটাইল কারখানায় চলছে তীব্র গ্যাস সঙ্কট। বেশিরভাগ কারখানায় ব্যহত হচ্ছে উৎপাদন। সপ্তাহ খানেকে শিল্পকারখানায় উৎপাদন নেমেছে অর্ধেকে। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান না হলে রপ্তানি বাণিজ্যে ধস নামার আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
কারখানার বয়লার চালানোর জন্য প্রতি ঘনফুটে ১৫ পিএসআই গ্যাসের চাপ দরকার হলেও সে চাপ কমে প্রতি ঘনফুটে এক থেকে দুই পিএসআইতে দাঁড়িয়েছে। কোথাও কোথাও শূন্যে নেমেছে। ডিজেল চালিত জেনারেটর ব্যবহার করে উৎপাদন কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। এতে বেড়েছে উৎপাদন খরচ।
কে এইচ এম নিটওয়্যার লিমিটেডের মালিক কামরুল হাসান মারুফ বলেন, এভাবে চলতে থাকলে অনেক শিল্পকারখানা একেবারেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে।বাইরে থেকে সিলিন্ডারে গ্যাস নিয়ে আসলে আমাদের খরচ বেড়ে যায়। সেই ক্ষেত্রে শ্রমিকদের বেতন নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি আমরা অনেক মালিকরা ।
গ্যাস সংকটে চরম ভোগান্তিতে আবাসিক গ্রাহকরাও। বাধ্য হয়ে বাইরের খাবার এনে খেতে হচ্ছে। প্রভাব পড়েছে সিএনজি ফিলিং স্টেশনেও।
গাজীপুরের তিতাস গ্যাস এন্ড ট্রান্সমিশনের উপমহাব্যবস্থাপক (আবিবি-গাজীপুর) প্রকৌঃ মোঃ শাহজাদা ফরাজী বলেন, শীত শেষ হলে সমস্যার সমাধান হবে। অচিরেই এই সমস্যা থেকে সমাধান করা যাচ্ছে না।
গাজীপুরে পাঁচ হাজারের বেশি কলকারখানা রয়েছে। যার বেশিরভাগই গ্যাস নির্ভর। আর এ খাতে কাজ করছে ২২ লাখ শ্রমিক। রপ্তানি বাজার ধরে রাখতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষের।