গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি (মোহসিন আজাদ পাপন) : বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে এবার গাজীপুরে। এতে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এতে যুবদলের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।
নেতারা বলছেন, সংঘর্ষের সময় পুলিশ নেতা-কর্মী ও দলীয় কার্যালয় লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
এতে শহরের প্রধান সড়কে পথচারী ও বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দোকান-পাট ও রাজবাড়ী সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ ঘটনায় ৪ পুলিশসহ অন্তত ১৫ বিএনপি নেতা-কর্মী আহত হয় বলে জানানো হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে।
সোমবার বিকেলে জেলার জয়দেবপুর এলাকায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
দেশের নানাপ্রান্তে বিএনপির কর্মসূচিতে গুলিতে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে, বিএনপির পক্ষ থেকে সংখ্যাটি অবশ্য পাঁচ বলে জানানো হচ্ছে। প্রাণ হারানো নেতা-কর্মীদের স্মরণে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে শোক মিছিল ও সমাবেশ করতে গিয়ে এই সংঘর্ষ ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেল ৪টার দিকে জেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে সভা শুরু হয়। সভা শেষে নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে নেতা-কর্মীরা এগিয়ে যাওয়ার করার চেষ্টা করলে পুলিশ ব্যানার কেড়ে নিয়ে ছিড়ে ফেলে।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পরে লাঠিপেটা করলে বিএনপি কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে সভা শেষে শোক মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয় এবং ব্যানার কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে। পরে নেতা-কর্মীদের বেদম লাঠিচার্জ শুরু করে।
‘এক পর্যায়ে পুলিশ দলীয় অফিস ও নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ও শটগানের গুলি ছুোঁড়ে। এতে বহু নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।’
কালীগঞ্জ উপজেলা যুবদলকর্মী জাকির হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলেও জানান বিএনপি নেতা।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রেজওয়ান আহমেদ বলেন, ‘বিএনপি নেতা-কর্মীরা সড়ক বন্ধ করে মিছিল বের করার চেষ্টা করে। রাস্তা বন্ধ না করতে তাদের অনুরোধ করা হয়। এ সময় বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লাঠিপেটা ও ইটপাটকেল ছোঁড়ে। এতে চার পুলিশ আহত হয়। পরে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।’
আহত পুলিশ সদস্যরা শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন জানিয়ে রেজওয়ান বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।’
পুলিশ কর্মকর্তা যে কয়েকজনের কথা বলেছেন, সেই সংখ্যাটি ১৫ বলে জানিয়েছেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান।